অরুণাচল প্রদেশে নতুন করে চিনা আগ্রাসনের মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে কলকাতায় চিনের রাষ্ট্রদূতকে পাওয়া গেল একাবের ভিন্ন মেজাজে। বিধাননগরের বি জে ব্লকের পুজোর সঙ্গে চিনা দূতাবাস এমনিতেই জড়িয়েছে এবার। আর তাই সেই পুজোর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন মা জানহু। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি যে গোটা অনুষ্ঠানটাকেই অন্য মাত্রা দিয়ে দেবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠীও। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে যায় কেশরির। তাঁর হাতেই উদ্বোধন হওয়ার কথা প্যান্ডেলের। তাই তিনি না আসা পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু করাই যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় স্ত্রী তাই চি-কে নিয়ে আসরে নামলেন রাষ্ট্রদূত।
চিন- ভারত সখ্যে বদল আসবে এশিয়া ও বিশ্বে, মত রাষ্টদূতের
টুইটাররে সৌজন্যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিও। 20,000 মানুষ দেখে ফেলেন ভিডিওটি । একের পর এক মন্তব্যও আসতে থাকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ দিয়া এরিক বসু ভিডিও দেখে মন্তব্য করেছেন। মার্কিন সাংবাদিক তথা কূটনীতিক এডওয়ার্ড আর ম্যুরোর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে দিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শেষ তিন ফুটের দূরত্ব। আর সেটা গড়ে ওঠে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে।
চিনের রাষ্ট্রদূত বললেন, দুর্গা পুজো এক দারুণ উৎসব। নানা ধরনের সংস্কৃতি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।
এই পুজোর মণ্ডপে চিন দেশের সংস্কৃতিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। রয়েছে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত হওয়া চাইনিজ হুলু। জানা গিয়েছে চিনের সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে রূপায়ন করতে এ দেশের পাঁচ শিল্পী সেখানে গিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কাজ শিখে এসেছেন। এরপর দেশে ফিরে দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের পর তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিনের কিছু শিল্পীও।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তিন বছর ধরে রাষ্ট্রদূতের পদে থাকা মা জানহুর এই নৃত্যাষ্ঠান তাঁর অবস্থানকে আরও মজবুত করবে। এমনিতে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বৈরিতা এবং দলাই লামার তাওয়াং যাত্রার মধ্যে গুরত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ঘটনাক্রম সামলেছেন মা।
© Copyright NDTV Convergence Limited 2025. All rights reserved.