ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে ধর্মের বিভাজন করছে তৃণমূল। এমনই দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। পুজো করতে ক্লাব গুলিকে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল সরকার। এ ব্যাপারে প্রথমে স্থগিতাদেশ দিলেও পরে কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমতাবস্থায় দিলীপ বুধবার বলেন হিন্দুদের ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। আগে ইমামদের ভাতা দেওয়া হয়েছিল। এখন হিন্দুদের কাছে টানার চেষ্টা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বলে গত দুবছর দুর্গা পুজোর বিসর্জন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেন দিলীপ। তাঁর কথায় মহরমের সঙ্গে একই দিনে দশমী পড়েছিল বলে বিসর্জন পিছিয়ে দেওয়া হল। আর এখন অনুদান দিয়ে হিন্দুদের কাছে টানার চেষ্টা হচ্ছে। আসলে তৃণমূল হিন্দুদের ভয় পেতে শুরু করেছে।
মেট্রোয় যৌন হেনস্তা এক মহিলার, ধৃত দশ
রাজ্যের 28 হাজার ক্লাবকে পুজো করার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর জন্য খরচ আঠাশ কোটি টাকা। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। প্রাথমিক ভাবে তাতে ধাক্কা খায় রাজ্য। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে অবশ্য মামলায় হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত হয়। আবেদনকারীদের দাবি ছিল একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে এভাবে টাকা দেওয়া যায় না।
তৃতীয়া পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা, চতুর্থী থেকে কাটবে মেঘ, বলছে আবহাওয়া দপ্তর
যদিও রাজ্য সরকার দাবি করে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে পথ দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সচেতনতা বাড়াতে। আরও বলে এটা রাজয় প্রশাসনের নিজস্ব বিষয়। সেটা বিচারের অধিকার আদালতের নেই। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকাররে আইনজীবী শান্তিনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। জবাবে ডিভিশন বেঞ্চ জানায় তারা হস্তক্ষেপ করছেও না। শুধু জানতে চাইছে এভাবে টাকা দেওয়ার জন্য কোনও নীতি আছে কিনা। থাকলে তা আদালতকে জানানো হোক। এরপর রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানতে চান আদালতের ভূমিকা ঠিক কী? আদালত জানায়, কোনও রোগীর শ্বাসকষ্ট হলে তাঁকে কেন অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে না সেটা জানতে চাওয়াই আদালতের কাজ। শেষমেশ রাজ্য সরকারের যুক্তিকেই কার্যত গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
© Copyright NDTV Convergence Limited 2025. All rights reserved.