মূল লক্ষ্য হল, চিন ও পূর্ব ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করা। কলকাতার এক বিখ্যাত দুর্গাপুজো কমিটির সঙ্গে হাত মেলাল চিন। ওই পুজো প্রাঙ্গণে এই বছর উঠে আসবে বিশ্বের বৃহত্তম দেশটি। সেই কারণেই চিনের ইউনান রাজ্য থেকে উৎসবের মরশুমে উড়ে আসছেন মোট পঁচিশ জন শিল্পী। যাঁরা ওই প্যান্ডেলের দেখভাল করবেন। একজন পদস্থ দূত এই কথা জানান শুক্রবার।
এই বছর দুর্গাপুজোয় তাদের মণ্ডপে এক টুকরো চিনকে নিয়ে আসছে সল্টলেকের বি জে ব্লক। চিনের সংস্কৃতি, রীতিনীতি, শিল্প প্রদর্শনী এবং সর্বোপরি যা না থাকলে এখনকার ও এখানকার প্রায় সব বাঙালিরই বঙ্গজন্ম বৃথা, সেই চিনা খাবার। 15 অক্টোবর থেকে 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলা দুর্গাপুজোয় সল্টলেকের এই কমপ্লেক্সটি এই বছর সাক্ষী থাকবে এই সব কিছুর।
চৈনিক স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া ওই মণ্ডপটিতে থাকবে বিশ ফুট লম্বা চৈনিক ‘হুলু (লাউ), যা চিনের ইউনান রাজ্যের সুখ ও সমৃদ্ধির প্রকাশ।
“এই প্রথমবার চিনা দূতাবাস ভারতের কোনও উৎসবে নিজেদের এত আগ্রহ ও নিষ্ঠার সঙ্গে নিযুক্ত করল। আমরা আশা করি, এই যুগ্ম উদ্যোগের ফলে ভারত-চিন সম্পর্কের বুনোটটিও দৃঢ় হবে। দুই দেশের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানের স্থানটি সুগম হলে ভারতে আরও চিনা পর্যটকও আসবেন বলে আমরা আশা করছি”, সাংবাদিকদের বলেন চিনের কনসাল জেনারেল মা ঝানউ।
“ওই মণ্ডপে আসা সমস্ত দর্শনার্থী চিনের বাঁশির সুর, ড্র্যাগনের নাচ, সিংহের নাচ এবং অ্যাক্রোব্যাটিক্সের দুর্ধর্ষ প্রদর্শনীর সাক্ষী থাকবে। মণ্ডপের মধ্যে সুখ ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে হুলু”, বলেন চিনের এক দূত।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।