সপ্তমীর সকাল। দুর্গাপুজোর আয়োজন সব সম্পন্ন নিখুঁত ভাবে। ষোড়শোপচারে আয়োজন সেরে পুজোয় বসেছেন ঠাকুরমশাই। চারদিকে বাজছে ঝাঁজ-ঘণ্টা-কাঁসর। ক্ষণে ক্ষণে উলুধ্বনির রোল উঠছে। হঠাৎ করে দেখলেই মনে হবে এ বাংলার কোনও পাড়ার পুজোয় দাঁড়িয়ে রয়েছি আমরা। আদতে কিন্তু তা নয়। বাংলা তো দূর, ভারতবর্ষও পেরিয়ে গিয়ে সেই বিদেশ বিভুঁইয়ের পুজোর কথা হচ্ছে আসলে। জার্মানির বার্লিনে এ ভাবেই জমে উঠেছে পুজোর আসর। দেখে প্রাথমিক ভাবে বোঝা না গেলেও দেশ ছেড়ে ওরা অনেক দিন ধরে রয়েছেন জার্মানির বার্লিন শহরে। কিন্তু দেশের সঙ্গে দূরত্ব বলেও ওদের মনের থেকে পুজোকে কেউ কেড়ে নিতে পারেনি। তাই প্রতি বছরই মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠেন বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যেরা।
সেই সদস্যদের মধ্যে সকলের প্রবেশ অবাধ। শুধুমাত্র বাঙালি নয়, অবাঙালি হোক বা বিদেশি সকলেরই সাদরে আমন্ত্রণ থাকে। অনেক ভারতীয় আবার বিদেশে কারও সঙ্গে সংসার পেতেছেন। সেই প্রবাসী সঙ্গীও ধীরে ধীরে পুজোর একজন হয়ে উঠেছেন। উপাচারেও নেই কোনও কার্পণ্য। চার ছেলেমেয়ে-সহ অপূর্ব মাতৃপ্রতিমা। সঙ্গে পুজোর জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুরই জোগার থাকে ফি বছর। উপস্থিত সদস্যদের সকলের মনে একটাই কথা, দেশ থেকে যত দূরেই থাকি না কেন, এই পুজোয় এলে মনে হয় আসলে পাড়ার মণ্ডপেই বসে রয়েছি। আর সেখানেই সফল বার্লিন দুর্গোৎসব কমিটি।
দেখুন ভিডিও:
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।