কলকাতা থেকে এডিনবরার দূরত্ব 8,034 কিলোমিটার। কিন্তু আবেগ আর কবেই বা দেশ কাল সীমানার গণ্ডীর কাছে মাথা নত করেছে! তাই বিলেতে বসেও দুর্গা পুজোকে প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন করতে উদ্যোগ নিলেন এক বঙ্গ সন্তান। বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত। অনেক খোঁজা খুঁজির পর তথ্য জোগাড় করে বানিয়ে ফেললেন ওয়েবসাইট। এটা এমন একটা ওয়েবসাইট যেখানে বিলেতের পুজো সম্পর্কে যাবতীয় খোঁজ খবর মিলবে। বিলেতের বাঙালিরা জেনে নিতে পারবেন তাঁর বাড়ির কাছে কোথায় পুজো হচ্ছে। সেই ওয়েবসাইটটি হল –
https://ukpujaparikrama.wixsite.com/2018
এই ওয়েবসাইটে খান ষাটেক পুজোর ব্যাপারে তথ্য দেওয়া আছে। শুধু পুজোর বিবরণ নয়, থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খোঁজ খবরও। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন আরও দুই প্রবাসী বাঙালি অভিরূপ ঘোষ এবং মৈত্রী রায়। এবছর বড় আকারে হলেও ব্যাপারটা শুরু হয়েছিল আগেরবার থেকেই। তখন অবশ্য ওয়েবসাইট ছিল না। গুগল ম্যাপেই পুজোর জায়গা গুলো চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছি। তাতে অনেকে উপকৃত হন। ভাল সাড়া মেলায় এবার আরও পরিকল্পনা করে কাজটা করার কথা ভাবেন সুমিত। আর তখনই মাথায় আসে একটা ওয়েবাসাইট করলে সবচেয়ে ভাল হয় । কাজটা অবশ্য খুব সহজ ছিল না। বিলেতে সবকটি পুজোর উদ্যোক্তাদের সন্ধান পেতে ফেসবুকের শরণ নেন তিনি। আলাদা আলাদা করে মোবাইল নম্বর জোগাড় করে তৈরি হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। সেখানেই আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। সেগুলিকে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে আকারে বড় হতে থাকেওয়েবসাইট। সুমিত জানান, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কিছু পরিবর্তন করা হবে ওয়েবসাইটে। বদলে যাবে নামটাও।
বিদেশে দুর্গা পুজো নতুন কিছু নয়। কয়েক বছর আগে থেকে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা বানানোর বরাত পেতে শুরু করেছেন। তাছাড়া পুজোর সময় কলকাতার খ্যাতনামা শিল্পীরা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানও করতে যান। বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবকে বিশ্বজনীন করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকারও। মাত্র কয়েক দিন আগে
‘টোটালি টেমস ফেস্টিভ্যাল’-এ জায়গা করে নিয়েছে কলকাতার পুজো। কলকাতার দুর্গা পুজো কেমন তা তুলে ধরা হয় এই উৎসবে। শুধু পুজোর ছবি নয় অনুষ্ঠানের সময় বাংলার সমাজ জীবনের পটচিত্র কেমন হয় সেটাই তুলে ধরা হয় প্রদর্শনীতে। এরই মাঝে পুজোর আগে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নিলেন এক বঙ্গসন্তান।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।