বহু কাল আগেই দুর্গা পুজো দেশ কাল সীমানার বিভাজনকে মুছে দিয়েছে। বিদেশে দুর্গা পুজো হয়। বিদেশ থেকেও বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। বছর বছর সেই সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য সরকারও বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে কলকাতা এবং বাংলাকে বিশেষ জায়গা করে দিতে এই দুর্গা পুজোকেই হাতিয়ার করেছে। মাত্র কয়েকদিন আগে লন্ডনে টেমস নদীর কলকাতার ধারে পুজো নিয়ে হয়ে গিয়েছে এক বিশেষ অনুষ্ঠান। টানা দশদিন ধরে কলকাতা পুজোর সময়ের তোলা নানা ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। এবার রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর পুজোর সময় এ রাজ্যে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল। তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে এই উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে কলকাতার খ্যাতনামা পুজো কমিটি গুলির সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর। বিদেশি পর্যটকরা যাতে দেবী দর্শনের সুবিধা পান সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তাঁদের যাতে ভীড়ের মধ্যে অপেক্ষা করতে না হয় সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে রাজ্য। আর এ উদ্দেশে গ্রিন চ্যানেল তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শুধু ঠাকুর দেখা বা প্যান্ডেল ঘুরে দেখা নয় পুজোর রীতি রেওয়াজের সঙ্গেও বিদেশিদের পরিচয় করাতে চায় তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর। আর তাই পুজোর ভোগ থেকে শুরু করে প্রসাদের স্বাদও বিদেশিদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় নবান্ন।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।