উৎসবের মরশুমে রেশনের দোকান থেকে সস্তায় ভোজ্য তেল ময়দা এবং চিনি বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটি ধাপে এগুলি দেওয়া হবে। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার যাতে উৎসবের সময় পছন্দমতো খাওয়া দাওয়া করতে পারে তাই এমন সিদ্ধান্ত। এর আগ ইদ এবং গত বছর দুর্গা পুজোর সময়ও সস্তায় রেশন বিলি করেছিল রাজ্য প্রশাসন। এবারও থাকছে একই ব্যবস্থা। প্রশাসনের কর্তাদের অনুমান প্রায় তিন কোটি মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছতে চলেছে। প্রথম দফায় অক্টোবরের 9 থেকে 23 তারিখ এবং দ্বিতীয় দফায় 30 অক্টোবর থেকে 13 নভেম্বরের মধ্যে চিনি থেকে শুরুর করে খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করেছে এমন প্রতিটি পরিবার প্রতি দফায় 101 টাকা কিলো দরে এক কিলো সরষের তেল পাবে। এক কিলোর জায়গায় 500 গ্রামের দুটি প্যাকেটও পাওয়া যাবে। তাছাড়া 94 টাকা দামে এক লিটার রাইস ব্যান ওয়েলও মিলবে।
এদিকে ধীরে ধীরে শেষ লগ্নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে উৎসব। মণ্ডপের ঢাকের আওয়াজ ম্লান হয়ে আসছে। উমার বিদায় এগিয়ে আসায় মনও ভারী হয়ে আসছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে খুব একটা দেরি নেই। তার কিছুটা পরেই নবমী নিশি। আর রাত পোহালেই বিজয়া। দেবীর পায়ে সিঁদুর দিয়ে শুরু হবে দিন। সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতেই জলে পড়বেন উমা। আবারও এক বছরের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে। তবে রাজ্য সরকারের ভাসান কার্নিভ্যালের সৌজন্যে কিছুটা বাড়তে চলেছে উৎসবের সময়সীমা।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।