রোজ অফিসের তাড়া, কলেজের দৌড়, কাজের চাপ সেরে দিনের কোনও না কোনও সময় মানুষ নিজের মুখোমুখি হয় আয়নার সামনে। পরিচিত অথচ একঘেয়ে চেহারায় নিজের সাথে আলাপ হয় রোজ। অথচ নিজের মধ্যেই থাকা নতুন রূপের মানুষটার সাথে সাক্ষাৎই হয় না আমাদের। একই মানুষের মধ্যেই আছে নানা রূপ, আর সেই বহুরূপ খুঁজে বের করতেই উঠে পড়ে লেগেছেন ডিজাইনার অভিষেক রায়। শান্তিনিকেতন কলাভবনের ছাত্র ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেকের ক্লোদিং লাইনের নামও তাই ‘বহুরূপী’। এই পুজোতেও পুরোনোর মধ্য থেকেই নতুনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এথনিক জামদানী আর পুরনো শাড়ির রিমডেলিং করে পুজোর ফ্যাশনে নতুনত্ব আনছেন অভিষেক।
“একটা মানুষের বহু রূপ, আর আমার কাজও হল মানুষের মধ্যে থাকা বিভিন্ন রূপকে সুযোগ বুঝে বের করে আনা, এই ধারণা থেকেই বছর দুয়েক আগে শুরু হয় বহুরূপী।”-বলেন টলিউডের অন্যতম ব্যস্ত এই ডিজাইনার। সাধারণত প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিক যেমন রেশম, তসর, লিনেন ইত্যাদি নিয়েই কাজ করেন তিনি। তবে এবার পুজোয় তাঁর মূল আকর্ষণ জামদানী। না, শাড়ি হিসেবে নয়, বরং পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই জামদানী কাপড়ের পোশাক তৈরি করছেন তিনি। অভিষেকের কথায়, “পুজোয় সবাই একটু ট্র্যাডিশনাল সাজে দেখতে চায় নিজেকে। কিন্তু ট্র্যাডিশন আর ট্রেন্ডের যদি মিল ঘটানো যায় কেমন হয়? এই ভাবনা থেকেই দেখলাম জামদানী ঐতিহ্যবাহী শাড়ি হিসেবে সবারই পছন্দ। ওই কাপড় দিয়েই যদি নতুন পোশাক বানানো যায় কেমন হয়!”
উৎসবের কথা মাথায় রেখেই লাল আর সোনালী রঙ প্রাধান্য দিয়েই অভিষেক ডিজাইন করেছেন পুজোর পোশাক। কোথাও সোনালী জামদানী লং কুর্তার সাথে লাল ক্রপ জ্যাকেট। কোথাও আবার গাঢ় লাল লং স্কার্টের সাথে ডিজাইনার ব্লাউজ আর সোনালী পাড়ের দোপাট্টা। কখনও আবার জামদানী লং ফ্রক। ছেলেদের জন্যও আছে এথনিকের সম্ভার। সোনালী পাঞ্জাবীর সাথে জামদানী কাপড়ের লাল জ্যাকেট। বা সোনালী ট্রাউজারের সাথে জামদানী ব্লেজার।
এখানেই শেষ না। একঘেয়ে যাপনে যেমন মানুষের নতুন রূপ বের করে আনতে চান অভিষেক, তেমনই পুরনো কাপড়কেও নয়া ভঙ্গিমায় হাজির করছেন তিনি। অভিষেক জানান, অনেক সময় আমাদের বাড়িতে পুরনো ভালোভালো শাড়ি থেকেই যায়। যার বাকি অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও পাড় ঠাসা বুননের হওয়ায় অক্ষত থেকে যায়। এই পাড় দিয়ে বা পুরনো শাড়ির ভালো অংশটুকু দিয়ে নতুন পোশাক বানাচ্ছেন তিনি।
এখানে অবশ্য শুধুই ফেস্টিভ লুকের পোশাক নয়। সকালের কোনও অনুষ্ঠানে বা ক্যাজুয়াল এমনকি অফিসেও পরে যেতে পারেন অভিষেকের ‘রিসাইকল্ড ফ্যাব্রিক’। হঠাত পুরোনোর মাঝে নতুনকে সন্ধানের ইচ্ছা? “এটা একেবারেই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই। বাড়িতে দেখতাম মায়ের অনেক সুন্দর সব পুরনো শাড়ি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি একবার মায়ের একরম দু’ তিনটে শাড়ি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট শুরু করলাম।”- বলেন অভিষেক।
টালিগঞ্জের কাছেই অভিষেকের স্টুডিও। জোর কদমে কাজ চলছে পুজোর কালেকশনের। তবে এখানে এক্সক্লুসিভ পোশাক পাবেন আপনি। একমেবদ্বিতীয়ম হতে চাইলে সামান্য বেশি টাকা লাগলেও, অভিষেক বলছেন পুজোর বাজারে সাধ্যের মধ্যেই থাকবে আপনার স্টাইল স্টেটমেন্ট।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।