আজ মহাষষ্টি। ইতিমধ্যেই কলকাতায় পুজো দেখতে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। উত্তর কলকাতার সাবেকী পুজো থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতার থিমের চোখ ধাঁধানো লড়াই দেখতে সারা রাত কলকাতার বুকে হেঁটে বেড়াচ্ছেন উৎসব প্রিয় বাঙালিরা। এনডিটিভি বাংলাও সেই পুজোর ঝলক তুলে দিতে চাইছে আপনাদের কাছে। আজ আপনাদের জন্য রইল বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজো।
এবার বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের থিম ‘উল্কি সাজে ঘোড়ায় চড়ে মা আসছেন গোন্ডদের ঘরে’। গোন্ডরা হলেন ভারতবর্ষের এক উপজাতি। সাধারণত মধ্যপ্রদেশেরই আদি বাসিন্দা তাঁরা। তবে অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের কিয়দংশেও দেখা মেলে তাঁদের। গোন্ড প্রজাতির চিত্রশিল্প সারা ভারতে তো বটেই, ভারতেই বাইরেও একইরকম বিখ্যাত। তাঁদের চিত্রশিল্পের একটি অংশ উল্কিও। উল্কি শব্দের বদলে এখন মানুষ ‘ট্যাটু’ শব্দের সঙ্গেই বেশি পরিচিত। এই উল্কি শিল্পকেই এবার তাঁদের থিম হিসেবে তুলে ধরেছেন মণ্ডপ শিল্পীরা। দেখে নিন এক ঝলক....
পুজো উদ্যোক্তারা জানান, গোন্ড উপজাতির মানুষ কোনও মূর্তি পুজো করেন না। তবে তাঁরা পাথরের উপর খোদাই করে নানা অবয়ব বানান, সেগুলিকেই পুজো করেন। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার তাঁদের প্রতিমাও তৈরি হয়েছে একটি পাথরে খোদাই করেই। সারা মণ্ডপে মিলবে তাঁদের চিত্রশিল্পের নমুনা।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।