ক্লাব গুলিকে পুজো করার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। তাতা ধাক্কা গেল রাজ্য। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। এই মামলার পরের শুনানি মঙ্গলবার। সেদিন এ সংক্রান্ত ব্যাপারে আদালতের তোলা প্রশ্নের জবাব দিতে হবে রাজ্যকে। সেই উত্তরের উপর মামলার ভবিষৎ নির্ভর করছে।
আবেদনকারীদের দাবি ছিল একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে এভাবে টাকা দেওয়া যায় না। যদিও রাজ্য সরকার দাবি করে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে পথ দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য সচেতনতা বাড়াতে। তাতে বিচারপতিরা পাল্টা জানতে চভান সেই কাজ তো রাজ্য সরকারফ নিজেই করতে পারে। তার জন্য পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়ার কী প্রয়োজন। আরয় জানতে চাওয়া হয় অন্য সম্প্রদায়ের উৎসবেও কি এভাবেই টাকা দেওয়া হয়।
পাশাপাশি বিচারপতিরা জানতে চান কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে কিনা। তাছাড়া এর বাইরে আরও দুটো প্রশ্নের উত্তরও চেয়েছে আদালত। তার প্রথমটি হল রাজ্য সরকার কোন মাপকাঠির উপর ভিত্তি করে এই আঠাশ হাজার ক্লাবকে বেছে নেওয়া নিয়েছে? আর পরেরটি হল যদি এই টাকা খরচ না হয় তাহলে সেগুলির ভবিষৎ কী হবে? মানে আদালত জানতে চায় সেই টাকা কি আবার রাজ্য সরকারের কাছে ফিরে আসবে নাকি ক্লাবের কাছেই থেকে যাবে। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।