প্রকারান্তরে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল 'সামনের উৎসবের মরশুমে' সোশ্যাল মিডিয়াতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যাহত করার চক্রান্তের চেষ্টা করতে পারে 'কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল' বলে 'সতর্ক' করে দিলেন রাজ্যবাসীকে(Mamata cautions against communal posts in social media)।
গতকাল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তা এবং কলকাতা পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের আইটি সেল সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তাদের মূল কাজই হল মানুষকে প্ররোচিত করে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি করা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে এই কাজ করতে চায় তারা।
তাই সামনের উৎসবের মরশুমে, যেখানে দুর্গাপুজো ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুজো ও পার্বণ, সেখানে আমাদের সতর্ক থেকে অতি শক্ত হাতে এই ধরনের চক্রান্তের চেষ্টাকে ব্যাহত করতে হবে", বলেন তিনি। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বসবাস করা বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে এককাট্টা হয়ে লড়ে রাজ্য সরকার এই ধরনের 'অশুভ শক্তি'কে রুখে দেবে। তিনি 'একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল'কে 'আগুন নিয়ে না খেলার' জন্যও সতর্ক করে দেন।
" আমাদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। যাতে কোনওভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে কেউ। আমি ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করব, তারা যেন আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বরের উৎসবের মরশুমটিকে সুষ্টুভাবে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেন", বলেন তিনি।
এছাড়া, এর সঙ্গেই মমতা এই কথাও বলেন যে উৎসবের মরশুমকে কোনও 'সন্দেহজনক কার্যকলাপ'-এ ব্যবহার করতে পারে, এমন কোনও সংগঠনের থেকে যেন কোনওভাবেই পুজো কমিটিগুলো কিছু না নেয়। তাদের কোনও প্রস্তাবই যেন গ্রহণ না করে।
তিনি ঘোষণা করেন, এই শহরের 2,500 পুজো কমিটি এবং শহরতলী ও মফসসলের 25000 পুজো কমিটির প্রত্যেকটিকে 10 হাজার টাকা করে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তিনি আরও জানান, এই বছর রেডরোডে কার্নিভাল হবে 23 অক্টোবর। "এই বছর কার্নিভালে পুজো কমিটির সংখ্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। গত বছর ছিল 55টি পুজো। এই বছর থাকবে 75টি পুজো", বলেন তিনি। বিসর্জন চলবে 19 অক্টোবর থেকে 22 অক্টোবর পর্যন্ত।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।