এ রাজ্যের মানুষ সমস্ত ধর্মের উৎসবকেই এক নজরে দেখেন। মহালয়ার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার বাগবাজার সর্বজনীনের পুজোর উদ্বোধন করে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার একশো বছরে পা দিল বাগবাজারের পুজো। মুখ্যমন্ত্রী জানান এই ঐক্যই বাংলার মানুষের শক্তি। তাঁর কথায়, ‘আমরা সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করি এবং ভালবাসি। আমাদের মধ্যে কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান কেউ আবার শিখ। নিজেদের ধর্মের মতো অন্য ধর্মকেও আমাদের সম্মান করতে হবে। আমরা সমস্ত ধর্মের অনুষ্ঠানে একই উৎসাহ নিয়ে যোগদান করে থাকি। এই একতাই আমাদের শক্তি।’
মহালয়া থেকে দেবী পক্ষের শুরু। মহালয়া হয়ে যাওয়া মানেই কার্যত পুজো শুরুর হয়ে যাওয়া। এরই মধ্যে শতবর্ষ ছুঁয়ে ফেলা বাগবাজারের পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রথম দিন থেকে বাগবাজারের পুজো মানে পুরনো রীতি নীতিকে ধরে রাখা। চারপাশের বহু পরিবর্তন সত্ত্বেও বাগবাজার আছে সেই বাগবাজারেই। প্রতিমা থেকে শুরু করে পুজোর পদ্ধতি সবই আছে সেই আগের মতো। এই ব্যপারটা ভাল লেগেছে মুখ্যমন্ত্রীরও।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।