কলকাতার ফ্যাশন শিল্পের জগতে আরও এক ঠিকানা জুড়ল। Fanetta। উদ্বোধন করলেন টলিউড ব্যক্তিত্ব সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। Fanetta একটি ফরাসি শব্দ। যার মানে 'জয়মাল্য দ্বারা সম্মানিত'। মাল্টি লেবেল ডিজাইনার এই সংগ্রহশালাটি দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত। ডিজাইনার অভিশ্রুতি দত্ত এই উদ্যোগের মূল কারিগর। পুজোর মুখে Fanettaর উদ্বোধনের দিনেই তাই পুজোর সম্ভার ছিল মূল আকর্ষণ। সারা দেশ থেকে আসা ডিজাইনাররা তাঁদের শরৎকালীন ও শীতকালীন পোশাকের সম্ভার তুলে ধরেন দর্শকদের জন্য।
পুরনো একটি বাংলোকে নতুন করে সাজানো হয়েছে এই সংগ্রহশালার জন্য। ভিনটেজ স্টাইলের সঙ্গে আধুনিকতার স্পর্শ fanettaকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। সারা দেশ থেকে প্রতিভাবান তরুণ এবং উদীয়মান ডিজাইনাররা, বিশেষ করে পূর্ব ও উত্তর পূর্বের ডিজাইনাররা এই শহরের মানুষদের জন্য একই ছাদের নীচে নিয়ে এসেছেন ফ্যাশনের নতুন নতুন সব ঘরানা। এই পুজোর আগে অন্য রকমের ফ্যাশনের খোঁজ করলে আপনিও যেতে পারেন একবার এই ঠিকানায়।
ফ্যানেত্তার উদবোধনে সুদীপা
কলকাতায় তাদের ডিজাইনের প্রদর্শনীর জন্য সারা দেশ থেকেই সৃজনশীল এবং প্রতিভাবান মানুষকে একত্রিত করেছে ফ্যানেতা। অভিশ্রুতি দত্ত, (Fanettaর ক্রিয়েটিভ হেড) বলেন, "Fanettaর মাধ্যমে সারা দেশ থেকে সৃজনশীল মানুষ একত্রিত হয়েছেন, কলকাতায় তাঁদের জিনিসের প্রদর্শনী করতে এগিয়ে এসেছেন। আমাদের নিজস্ব ক্যাফেও রয়েছে। আমরা আশা করি যে আমাদের এই উদ্যোগ সকলের ভালো লাগবে।"
Fanetta-তে আছে কাসোর (ইন্দোর) কাজ, হানা হাউসের কাজ (মিজোরাম), কণিকা জৈনের ডিজাইনার কাজ, অলঙ্কৃতা প্রীতম (বেঙ্গালুরু), নেহা কাবরার মাটি কালেকশন, সিল্ক সিম্ফনি (গোয়াহাটি), মধুরিমা ভট্টাচার্যর কাজ, নাগাল্যান্ডের ডি'আন্না জুয়েলস, মুম্বাইয়ের জেমপেটিট, আহমেদাবাদের ক্রেয়নস এবং আরও অনেক এক্সক্লুসিভ সম্ভার। এই ডিজাইনারররা নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়েও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন।
ফ্যানেত্তার সম্ভার
সর্বাধুনিক ফ্যাশনের ইন্দো ওয়েস্টার্ন সকল পোশাকই পাবেন এখানে। দাম সামান্য বেশি 2,500 থেকে 7,000 টাকা। তবে এক্সক্লুসিভ কালেকশন পেতে সামান্য খরচ তো করতেই হয়। রয়েছে হালকা রোজের পোশাক (হাজার থেকে চার হাজারের মধ্যেই দাম),হাতে এম্ব্রয়ডারি করা কুর্তি (8000 থেকে 18000 টাকা), হাতে তৈরি আনুষাঙ্গিক (300 থেকে 1500) এবং হস্তনির্মিত পুঁটলি (1500 টাকা থেকে 2800 টাকা)।
2000 বর্গ ফুটের এই এলাকায় নিজস্ব একটি ক্যাফেও রয়েছে। যার নাম "মিসেস উইলসন ক্যাফে”। বিখ্যাত কমিক সিরিজ "ডেনিস মেনাস" থেকেই অনুপ্রাণিত এই নাম। এই ক্যাফের ইউএসপি হল শেফের পছন্দ অনুসারে প্রতি সপ্তাহে বদলে যায় মেনু। 30 আসনের ক্যাফেতে পাবেন ভেটকি ইন লেমন বাটার সস, হোমমেড র্যামেন, টিপসি পুডিং এবং ক্রীম ব্রুল। ক্যাফেতে অতিথিদের জন্য বিশেষ ফটো কর্নারও রয়েছে।
ফ্যানেত্তার অন্দরে
Fanetta 102B, বালিগঞ্জ প্লেস, (পাঠ ভবনের সিনিয়র স্কুলের কাছে) কলকাতা 700019 এ অবস্থিত।
দেখুন ভিডিও:
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।