বাঙালির কাছে দুর্গা পুজো মানেই এই চারদিন নিজেকে বছরের সেরা সাজে সাজিয়ে তোলা। শাড়ি থেকে সালোয়ার, কুর্তা থেকে গাউন, ধুতি থেকে পাঞ্জাবী বা ফ্যাশনেবল টি শার্ট আর জিন্স- এই ক’দিন নিজেকে নানা সাজে তুলে ধরার দিন। ঐতিহ্যের পাশাপাশি ফিউশন স্টাইল সবই রয়েছে ফ্যাশনিস্তাদের সাজগোজের তালিকায়। কুর্তা, টিউনিক, শাড়ি, পালাজো কিনতে ভিড় জমেছে শপিং মল থেকে শুরু করে পাড়ার দোকান সর্বত্র।
পুরুষদের জন্য, উজ্জ্বল রঙের ধুতি-কুর্তা, পাজামার সঙ্গে মাঝারি কুর্তা, প্রিন্টেট কোটের সাথে লিনেন প্যান্ট এই পুজোয় ফ্যাশনে ইন। আকর্ষণীয় ফ্যাশনের টিপস শেয়ার করেছেন ডিজাইনার অভিষেক দত্ত। তিনি বলেন, "পুরোপুরি ঐতিহ্যগতভাবে সাজতে চাইলে একজন চোলি- ব্লাউজের সাথে একটি সুন্দর শাড়ি বেছে নিতে পারেন। একটু অন্যরকম চাইলে কনট্রাস্ট রঙিন প্রিন্টেড ব্লাউজটি দিয়ে হ্যান্ডলুম শাড়ি পরতে পারেন।"
অভিষেক আরও বলেন, "শাড়ির সাথে কোমরবন্ধনী বা আগেকার দিনের চাবির গোছা ব্যবহার করলে আপনার স্টাইলে নতুনত্ব আসবে। তবে কি পরবেন তা আপনার শরীরের ধরন এবং রঙ মাথায় রেখেই নির্বাচন করবেন।”
একজন ভারতীয় মহিলার চিত্তাকর্ষক সাজের ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, "ভারতীয়দের সাজে অন্য মাত্রা জুড়ে দেয় টিপ। মহিলাদের মুখে এক অন্য মাত্রা যোগ করে দেয় টিপ, সে আধুনিক পোশাকের সাথে হোক বা শাড়ি!"
এই পুজোয় নানা প্যাস্টেল শেড যেমন কোরাল পিঙ্ক, পেস্তা সবুজ ফ্যাশনে ইন। এছাড়া পুজোর সময় লাল আর হলুদের তো তুলনাই নেই। লিনেন শাড়ির প্রসঙ্গে অভিষেক জানান, এই পুজোয় আরাম জোগাবে লিনেন শাড়ি। তবে তাতে একটু বদল আনতে পারেন। ব্লাউজের বদলে ক্রপটপের সাথে পরতে পারেন এই শাড়ি, বা শাড়ির সাথে জ্যাকেটও জমবে ভালো।
"আকর্ষণীয় ব্লাউজের সাথে ঐতিহ্যগত শাড়ির মেলবন্ধন করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মটকা ব্লাউজের সাথে ভারী সিল্কের শাড়ি পরতে পারেন, আবার ভেলভেট ব্লাউজের সাথে গাদোয়াল শাড়ি।” বলেন অগ্নিমিত্রা। এছাড়া ডেনিম আর কুর্তার পুরনো অথচ চির নতুন ফ্যাশন তো আছেই।
পুরুষদের ফ্যাশনের বিষয়ে অভিষেক বলেন, "পুরুষদের জন্য নেহরু জ্যাকেট দারুণ ফ্যাশনেবল। যে কোনও পছন্দের পোশাকের সাথে জ্যাকেট পরা আলাদা মাত্রা যোগ করে। উজ্জ্বল রঙিন জুতো পরতে পারেন ছেলেরা।"
"শাড়ির সাথে গয়না হিসেবে ধাতব বা চামড়ার গয়না ট্রাই করতে পারেন এবার। ইন্দো ওয়েস্টার্ন পোশাকের সাথে বেল্ট খুব ভালো মানায়। ফিউশন হিসেবে এই নতুনত্ব আনতে পারেন এবার। যেমন ধরুন নীল শাড়ির সাথে সবুজ বেল্ট!” বলেন অভিষেক। অগ্নিমিত্রা জানান, স্কার্টের সাথে অন্য কোনও গয়না না পরে রতন চূড় বা হাতফুল পরতে পারেন গয়না হিসেবে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।