পুজো (Durga Puja) শুরু হতে আর একটি মাসের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই কাজের ফাঁকে সবাই যে যার নিজের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পিছিয়ে নেই রাজ্য সরকারও। অন্যান্য বারের মতো এবারও পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
নিজ নিজ এলাকায় পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম (WBTC), দক্ষিণবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম (SBSTC), ও উত্তরবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগম (NBSTC)। তাই সরকারি উদ্যোগ থাকায় পুজোয় ঘোরাফেরা অনেকাই সুবিধের হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পুজোর (Durga Puja) সময় পাহাড়-জঙ্গলে প্যাকেজ ট্যুরের পরিকল্পনা করছে এনবিএসটিসি। আবার পুজোর দিনগুলিতে কলকাতার বিশেষ পুজোগুলি বাসে ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। জানা AITC-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস ছাড়া হবে। এছাড়া, বনেদি বাড়ির পুজো, সল্টলেকের পুজোগুলিও ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। পুজো পরিক্রমায় নন-এসি বাসের পাশাপাশি এসি বাস রাখা হবে। তবে শুধু বাস নয়, ঐতিহ্যবাহী ট্রাম থাকবে পুজো পরিক্রমায়। এমনকী থাকছে জলযানও।
সূত্রের খবর, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পরিক্রমার ব্যবস্থা করবে এসবিএসটিসি। সিটি সেন্টারের কাছ থেকে সন্ধ্যা ছ’টায় ছাড়বে নন-এসি বাস। চার ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন পুজো (Durga Puja) ঘুরিয়ে দেখানো হবে। দর্শনার্থীদের পানীয় জল ও টিফিন দেওয়া হবে। টিকিটের দাম মাথা পিছু ৩৫০ টাকা করে নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
পুজো পরিক্রমায় বাদ নেই পাহাড়। ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে প্যাকেজ ট্যুরের পরিকল্পনা রয়েছে এনবিএসটিসি-র। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহের মতো জায়গা থেকে শুরু হবে পরিক্রমা। এছাড়া পুজোর (Durga Puja) দিনগুলিতে বেশি রাত পর্যন্ত ইন্টারসিটি বাস চালানো হবে বলেও খবর।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।