স্বচ্ছ ভারত অভিযানের হাত ধরে ভারতকে আবর্জনা মুক্ত করে তুলতে বিভিন্ন মানুষ কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বর্জ্য পদার্থ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করেছে। এক মাসব্যাপী এই উদ্যোগে কলকাতায় দুর্গা পুজোর আগে শহরকে আবর্জনা মুক্ত করে তোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
"মানুষের ভোগবাদ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা উৎপাদন যেমন বেশি করছি তেমনই আমাদের ক্রয় ক্ষমতাও বাড়ছে। তেমনই জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে প্রচুর। তাই এই বছর দুর্গাপুজোয় আমরা জিনিসপত্র যেমন কিনব তেমনই জিনিসপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো রিসাইকেল করে আমরা বর্জ্য পদার্থ সঠিক ব্যবস্থাপনা করব", গার্বেজ ফ্রি ইন্ডিয়ার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা শ্রুতি ঘোষ জানান।
একটা রিপোর্টে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন প্রতিদিন গড়ে 3 থেকে 4 হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানীয় অঞ্চল থেকে 150 থেকে 200 মেট্রিক টন বর্জ্য পদার্থ প্রতিদিন সংগ্রহ করা হয়।
বিখ্যাত তারকারাও এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন।
"আমাদের এখানে মন্টেসরি থেকেই সকলকে পরিচ্ছন্নতার জন্য পাঠ দেওয়া হয় কারণ নিজেকে ও নিজের চারপাশ পরিষ্কার রাখার ন্যূনতম মূল্যবোধ টুকু আমাদের মধ্যে নেই। কিন্তু আপনি বিদেশে গেলেই দেখবেন তাদের মধ্যে এই পরিচ্ছন্নতার বোধটা প্রবলভাবে রয়েছে। তারা কখনোই গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে নোংরা ফেলে না। সুতরাং তাদের আলাদা করে পরিবেশ পরিষ্কার করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিটা বিদ্যালয়ে পাঠক্রমের পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার পাঠ প্রতিনিয়ত দেওয়া প্রয়োজন", জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলি জানিয়েছেন।
আমাদের দেশের যুবক-যুবতীরাও পরিবেশ পরিছন্নতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করতে এগিয়ে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়ারা পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এগিয়ে এসেছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন মানুষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি অত্যন্ত তাচ্ছিল্য করছে।
দুর্গা পুজোর সময় বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায় কিন্তু বছর আঠাশের তমাল ভট্টাচার্য জানেন কীভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হয়। তিনি বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করে তা ডেকোরেশন এর কাজে ব্যবহার করেন।
বিভিন্ন মেট্রো সিটি যেমন কলকাতার কাছে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে বর্জ্য উৎপাদন হলেও তা যথাযথ নিকাশের ব্যবস্থা না থাকায় তা কিন্তু পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে স্তূপাকারে জমাই হয়ে থাকে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।