দুর্গা পুজো ভিড়কে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারী পাচারের মতো ঘটনা ঘটে। শুধু দুর্গা পুজো নয় যে কোনও বড় উৎসবের সময়ই এরকম ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না। অতীতে কলকাতাও সাক্ষী থেকেছে এমন ঘটনার। কিন্তু এবার যাতে তেমন কিছু না হয় তার জন্য উদ্যোগ নিল প্রশাসন। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান পাচার রুখতে বন্ধু অ্যাপকে কাজে লাগানো হচ্ছে। নাগরিকদের নানা ভাবে সাহায্য করার জন্য বন্ধু অ্যাপ চালু করেছে লালবাজার। এবার সেই অ্যাপকে কাজে লাগিয়ে শিশু ও নারী পাচার রুখতে চাইছে সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনই জানিয়েছেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, শহরের আটটি পুলিশ ডিভিশনে আটটি ভ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া ব অ্যা পরিবারের থেকে আলদা হয়ে যাওয়া কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে খবর এলে এই ভ্যানে থাকা আধিকারিকরাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবেন। আর এটা যাতে করা যায় তার জন্য শহরের বিভিন্ন পুজো কমিটির সঙ্গে কথা বলেছে প্রশাসন। বলা হয়েছে নিয়মিত ব্যবধানে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করতে হবে। তাছাড়া উদ্দেশহীন ভাবে কাউকে রাস্তায় ঘুরতে দেখেলে কলকাতা পুলিশের আপদকালীন নম্বর 100, শিশুদের জন্য নির্দিষ্ট হেল্পলাইন 1098, নারীদের সাহায্য করতে তৈরি হেল্পলাইন1091 এবং 9002999999- নম্বরে ফোন করে খবর দেওয়া যাবে। মন্ত্রীর কথায়, এই হেল্প লাইন বা বন্ধু অ্যাপের পাশাপাশি পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া নারী ও শিশুদের দ্রুত সরকারি হোমে নিয়ে যাওয়া হবে। অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কেউ নিজের সন্তান বা বৃদ্ধ বাবা- মাকে রাস্তায় রেখে চলে যায়। সেই ধরনের ঘটনা রুখতে তৎপর হচ্ছে প্রশাসন।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।