অষ্টমীর অঞ্জলি ছাড়া যেমন পুজো সম্পূর্ণ হয় না, তেমনই সম্পূর্ণ হয় না অষ্টমীর ভোগ ছাড়া। বাড়িতে যতই নানা ধরনের মন ভরানো খাবার বানান না কেন, পুজোর ভোগের খাবারের স্বাদ আনতে পারবেন না। অমৃতসম সেই সব ভোগ কেবল যেন পুজোর বিশেষ উপলক্ষকে কেন্দ্র করেই তৈরি। পুজো প্রায় দোড়গোড়ায়। অষ্টমীর সাজও তৈরি। এবার দেখে নেওয়া যাক পুজোর ভোগের ছোট্ট তালিকা।
1.খিচুড়ি: পুজো হবে আর খিচুড়ি হবে না এমনটা কি হতে পারে? কখনোই না। সপ্তমী থেকে নবমী –রোজই পুজোর জন্য ভোগ হিসেবে তৈরি হয় খিচুড়ি। মুগড়ালের খিচুড়ি দুর্গাপুজোর ভোগের একটি অপরিহার্য অংশ।
2. লাবড়া: - কুমড়ো, আলু, বেগুন, ঢেঁড়স সব ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি বাংলা এই খাবারটি ভোগের অন্যতম অংশ।
3. টমেটোর চাটনি: সর্ষে ফোঁড়ন দিয়ে আদা, কারি পাতা ও চিনি আর সামান্য মশলা দিয়ে তৈরি টমাটোর চাটনি ভোগের সঙ্গে না হলে খাবার আমেজই জমে না।
4. পায়েস; চাল আর দুধ দিয়ে বানানো এই মিষ্টি স্বাদের পায়েসও ভোগের শেষ পাতে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবেই। উপরে কাজু কিসমিস বা পেস্তা ছড়িয়েও খেতে পারেন।
5. বেগুন ভাজা বা বেগুনি: খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন ভাজা বা গরম গরম বেগুনি না হলে জমেই না। লম্বা সরু ফালি করে কাটা বেগুন বেসনে ডুবিয়ে ছাঁকা তেলে ভাজলেই রেডি প্রিয় বেগুনি। বেগুন ভাজা খিচুড়ি ছাড়া লুচির সঙ্গেও একই রকম ভালো লাগে খেতে।
6. আলু ফুলকপি: আলু আর কুচো করে কাটা ফুলকপি দিয়ে তৈরি সুস্বাদু এই তরকারিটিও খিচুড়ির সঙ্গেই পরিবেশিত হয়। তবে লুচির সঙ্গেও সমান জনপ্রিয়।
7. রসগোল্লা: শেষ পাতে বড় বড় রসগোল্লা না পড়লে আর ভোগ কী হল! ছানার তৈরি নরম রসগোল্লা পুজোর ভোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
8. ছোলার ডাল: সাধারণত লুচির সঙ্গেই খাওয়া হয় এই ডালটি।
9. নিরামিষ পোলাও: বাসমতী চাল, মটরশুঁটি, এবং লবঙ্গ দিয়ে তৈরি পোলাও অনেকেই খিচুড়ির বিকল্প হিসেবে ভোগ দিয়ে থাকেন। অষ্টমীতে বিশেষ এই পোলাওয়ের স্বাদ গন্ধ সবই উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়।
10. মিষ্টি দই; বাংলার পুজো কি মিষ্টি দই ছাড়া সম্ভব? একেবারেই না। সবার শেষে ভোগে তাই থাকে মিষ্টি দই।
এবারের পুজোতেও বন্ধু বান্ধব আত্মীয়দের সঙ্গে জমিয়ে হোক পুজোর ভোগ খাওয়া। পুজো কাটুক ভালো।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।