পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ঘোষণা করলেন রাজ্যের 28000 দূর্গা পুজো কমিটিকে 10000 টাকা অনুদান এবং ওয়েভার লাইসেন্স ফি মকুব করবেন। "কলকাতার তিন হাজার দুর্গা পুজো কমিটি এবং রাজ্য ব্যাপী 25 হাজার পুজো কমিটিকে দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কলকাতা এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, দমকল পরিষেবা, দ্য কলকাতা পুলিশ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে প্রতিটা পুজো কমিটিকে তহবিলের টাকা পেতে সাহায্য করবে। পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের হাতে অর্থ মূল্য তুলে দেওয়া হবে।
"রাজ্যগুলিতে পর্যটন ও উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর, স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছোট বড় পুজো কমিটির হাতে অর্থ মূল্য তুলে দেবে", জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী 15-19 শে অক্টোবর রাজ্যজুড়ে মহা ধুমধামে পালিত হবে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের জন্য 28 কোটি টাকা খরচ হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, তিনি বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে নির্দিষ্ট পুজো কমিটিকে 20-23 শতাংশ বিদ্যুতের বিলের ওপর ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। "কলকাতা এমসি, আর্বন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে কোনও রকম লাইসেন্স ফি নিতেও নিষেধ করেছি", জানান তিনি।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, 23 শে অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী সরণিতে (রেড রোডে) দুর্গা পুজো কার্নিভাল আয়োজিত হবে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।