দুর্গা পুজোয় রাজ্য জুড়ে তিন হাজার স্টল করছে বিজেপি (BJP)। বই থেকে শুরু করে দলের আদর্শ প্রচারের জন্য পুজোকেই কাজে লাগাতে চাইছে পদ্ম শিবির। দশকের পর দশক ধরে পুজোর সময় স্টল করে এসেছে সিপিএম। বছর সাতেক আগে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র স্টল করে তৃণমূল। কিন্তু এই তালিকায় বিজেপির অন্তর্ভুক্ত হওয়া কার্যত বেনজির। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও মেনে নিয়েছেন বিষয়টি। তিনি জানিয়েছেন আগে সাংঠনিক শক্তি কম থাকায় তারা স্টল দিতে পারতেন না কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। অনেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আর তাই স্টল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্টলের সংখ্যা যে হাজার তিনেক তা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য শাখার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। কী থাকবে স্টলে ? দলীয় সূত্র বলছে, বিজেপির সংগঠনের বিষয় বলা আছে এমন বই থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুই থাকতে চলেছে স্টলে। শুধু বিজেপি নয় তার আগে জনসঙ্ঘের ইয়িহাসও তুলে ধরা হবে। থাকবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অনেকের ছবি। সেই তালিকায় আছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দীনদয়াল উপাধ্যায়।
আদর্শ প্রচারের পাশাপাশি বাংলায় এনআরসির দাবিতেও সরব হবে বিজেপি। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের বিস্তারিত বিবরণও তুলে ধরা হবে। বিভিন্ন স্টলে একাধিক বার যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেতাদের। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমাদের কাছে পুজো মানে ইতিহাস আর সংস্কৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া। কিন্তু বিজেপির কাছে তা নয়। বিজেপি সবসময় ধর্মের নামে বিভাজন করতে চায়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।