অরুণাচল প্রদেশে নতুন করে চিনা আগ্রাসনের মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে কলকাতায় চিনের রাষ্ট্রদূতকে পাওয়া গেল একাবের ভিন্ন মেজাজে। বিধাননগরের বি জে ব্লকের পুজোর সঙ্গে চিনা দূতাবাস এমনিতেই জড়িয়েছে এবার। আর তাই সেই পুজোর উদ্বোধনে হাজির ছিলেন মা জানহু। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি যে গোটা অনুষ্ঠানটাকেই অন্য মাত্রা দিয়ে দেবে তা অনেকেই ভাবতে পারেননি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠীও। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে যায় কেশরির। তাঁর হাতেই উদ্বোধন হওয়ার কথা প্যান্ডেলের। তাই তিনি না আসা পর্যন্ত অনুষ্ঠান শুরু করাই যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় স্ত্রী তাই চি-কে নিয়ে আসরে নামলেন রাষ্ট্রদূত।
চিন- ভারত সখ্যে বদল আসবে এশিয়া ও বিশ্বে, মত রাষ্টদূতের
গায়ে থাকা কালো রঙয়ের জ্যাকেট খুলে ফেললেন রাষ্ট্রদূত। এরপর শুরু হল নৃত্যানুষ্ঠান। যোগ্য সঙ্গত দিলেন স্ত্রী। প্রায় 20 মিনিট ধরে চলল অনুষ্ঠান। এরই মাঝে এসে পৌঁছলেন রাজ্যপাল। ততক্ষণে উপস্থিত সকলের মন জয় করেছেন সস্ত্রীক রাষ্ট্রদূত।
টুইটাররে সৌজন্যে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিও। 20,000 মানুষ দেখে ফেলেন ভিডিওটি । একের পর এক মন্তব্যও আসতে থাকে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ দিয়া এরিক বসু ভিডিও দেখে মন্তব্য করেছেন। মার্কিন সাংবাদিক তথা কূটনীতিক এডওয়ার্ড আর ম্যুরোর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে দিয়া বলেন, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শেষ তিন ফুটের দূরত্ব। আর সেটা গড়ে ওঠে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে।
চিনের রাষ্ট্রদূত বললেন, দুর্গা পুজো এক দারুণ উৎসব। নানা ধরনের সংস্কৃতি মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।
এই পুজোর মণ্ডপে চিন দেশের সংস্কৃতিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। রয়েছে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত হওয়া চাইনিজ হুলু। জানা গিয়েছে চিনের সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে রূপায়ন করতে এ দেশের পাঁচ শিল্পী সেখানে গিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে কাজ শিখে এসেছেন। এরপর দেশে ফিরে দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের পর তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিনের কিছু শিল্পীও।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন তিন বছর ধরে রাষ্ট্রদূতের পদে থাকা মা জানহুর এই নৃত্যাষ্ঠান তাঁর অবস্থানকে আরও মজবুত করবে। এমনিতে ডোকলামে চিন ও ভারতের মধ্যে বৈরিতা এবং দলাই লামার তাওয়াং যাত্রার মধ্যে গুরত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ঘটনাক্রম সামলেছেন মা।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।