যৌনকর্মীদের বাড়ি থেকে মাটি না এলে দুর্গা প্রতিমা তৈরি হয় না। কিন্তু পুজো থেকে তাঁদের দূরেই রাখা হয়ে থাকে। এবার বদল ঘটল চিন্তা ভাবনায়। উত্তর কলকাতার অন্যতম নামকরা পুজো আহেরিটোলা হাঁটল প্রায় অচেনা পথে। এখানে মণ্ডপসজ্জায় স্থান পেয়েছে যৌনকর্মীদের জীবন। আর তাঁদের কথা মাথায় রেখেই হয়েছে স্ট্রিট আর্ট। প্রায় 300 ফুট রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই শিল্প কর্মের মধ্য দিয়ে যৌনকর্মীদের জীবনের দুঃখের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিদিন তাঁদের জীবন কী কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, সে কথাই তুলে ধরতে চেয়েছে আহেরিটোলা। মহালয়ার দিন প্রকাশ্যে আনা হল সেই শিল্প কর্মকে।
আহেরিটোলা যুবকবৃন্দ পুজো কমিটির সম্পাদক উত্তম সাহা জানান, যৌনকর্মীর জীবন এবং তাঁদের কষ্ট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিল্পী সৌমেন সরকার জানালেন জীবনের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরতে নানা রকমের রং ব্যবহার করা হয়েছে। আরেক শিল্পী মানস রায় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, কোনও মহিলার যৌনকর্মী হয়ে ওঠার নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকে। হয় তাঁরা পাচারের শিকার হন বা অন্য কোনও কারণে এই পেশায় নামতে হয় তাঁদের। কিন্তু তাঁরাও সন্তানের মা। হাজার বাধা সত্ত্বেও তাঁরা পরিবারের ভাল চান। নারীশক্তিকেই দুর্গা রূপে পুজো করি আমরা। তাই এখানে কোনও বৈষম্য কাম্য নয়। এদিকে এই উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করে চলা দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটি। কমিটির তরফে সান্তা দাস জানান এমন উদ্যোগ সব অর্থেই প্রশংসার দাবি রাখে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।