হাতে আর এক সপ্তাহ ৷ তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির সেরা উতসব ৷ পুজোর চারটে দিন কে কী পরবেন, কীভাবে নিজেকে অনন্য করে তুলবেন মনের মানুষের কাছে তা নিয়ে চলছে হাজারও জল্পনা ৷ কোন কম্বিনেশনে তাক লাগানো যাবে তা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই ছেলেমেয়েদের ৷ যাঁরা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি পুজোর সেরা কম্বিনেশন বা সেরা সাজ তাঁদের জন্য রইল ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলের বিশেষ টিপস ৷ সালওয়ার থেকে পলাজ়ো, কুর্তি থেকে লং স্কার্ট বা চিরন্তনী শাড়ি, কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত সেটাই জানাচ্ছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফ্যাশন ডিজাইনার ৷
তাঁর মতে, এবারের পুজোর ফ্যাশন ট্রেন্ড হ্যান্ডলুম ৷ যে কোনও রকমের হ্যান্ডলুম ড্রেস কেনার দিকে আগ্রহ বেশি ৷ ইন্ডিয়ান, ওয়েস্টার্ন, মেয়েদের শাড়ি এমনকী ছেলেদের কুর্তা সবকিছুতেই হ্যান্ডলুমের ছোঁয়া ৷ বাজারও ছেয়ে গেছে হ্যান্ডলুম ড্রেসে ৷
মেয়েদের পোশাকের মধ্যে হ্যান্ডলুমের শাড়ি সবচেয়ে বেশি চলছে ৷ এছাড়া ট্রাডিশনালের মধ্যে ইক্কত, পোচমপল্লির বিক্রি বেশি ৷ তবে জর্জেটের শাড়ি তুলনামূলকভাবে কম চলছে এবারের পুজোয় ৷
এছাড়া জাম্প শ্যুট, ইন্ডিয়ান টেক্সটাইলের গাউন, ক্রপ টপ, বিভিন্ন ধরনের পলাজ়ো - বেশি ঘের, কম ঘের, স্ট্রেট পলাজ়ো বেশ চলছে ৷ সমান তালে পাল্লা দিয়ে চলছে কেপ ৷ তবে পুজোয় অনেকেই বাঙালি ঐতিহ্য বজায় রাখতে চাইলেও শর্ট ড্রেসের চাহিদা কিছু কম নেই ৷
পোশাকের রং - পোশাক তো কিনবেন, রং বাছবেন কীভাবে ? অগ্নিমিত্রা পলের পরামর্শ যদি মেনে চলেন তাহলে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গোলাপি ও লালের পাশাপাশি কমলা, টেরাকোটার মতো উজ্জ্বল রঙই পুজোয় মানানসই ৷ এবং প্রতিবারের মতো এবারেও এগুলোই চলছে বলে জানিয়েছেন অগ্নিমিত্রা ৷
মেক আপ - পোশাক তো কিনলেন অনেক ৷ তার সঙ্গে সাজ মানানসই না হলে কিন্তু সব মাটি হয়ে যাবে ৷ তাই এক্ষেত্রেও মেনে চলতে পারেন অগ্নিমিত্রার গাইডলাইন ৷ তাঁর মতে, পুজোর দিনগুলিতে সকালে দিকে হালকা মেক আপই ভালো ৷ এখন গরম রয়েছে তাই হালকা মেক আপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুলটা স্টাইল করে বেঁধে নিতে পারেন ৷ আর সন্ধেবেলার সাজ হবে ঠিক উলটো ৷ হেভি বা গ্ল্যামরাস মেক আপ ও সুন্দর হেয়ার স্টাইলেই মাত করে দিতে পারেন আপনি ৷
এতো গেল এবারের পুজো ট্রেন্ড এবং সাজ ৷ কিন্তু বাঙালির সেরা উতসবে খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনারের ঝুলিত স্পেশাল কী আছে ? অগ্নিমিত্রা পলের কথায় "মধুবনী, ইক্কত, প্রিন্টেড পোশাকই তাঁর কাজের বিশেষত্ব ৷ এগুলোর মধ্যে শর্ট, লং ও জ্যাকেট মিলছে ৷ থাকছে ছেলেদের জন্য কুর্তা ও ধুতি ৷" পুজোর সময় একটা দিন অন্তত ফ্যাশন সচেতন ছেলেদের পাঞ্জাবি, পাজামা পরার পরামর্শ দিয়েছে অগ্নিমিত্রা পল ৷
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।