এর থেকে রক্ষা থেকে পেতে শুধু সরকারি উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, দরকার সামাজিক সচেতন। সেটা তৈরি না হলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে না। আর সচেতনতা বাড়ানোর সেই কাজটাই শুরু হল পুজো থেকে। বাগবাজার পল্লির পুজো মণ্ডপে দুর্গা মশাসুর মর্দিনীও বটে। অন্তত তেমন বার্তাই দিচ্ছেন তিনি। মণ্ডপে ঢোকার মুখে থাকছে একটি বিশাল মশা। এই বড় আকারের মশা তৈরি হয়েছে থার্মোকল দিয়ে তৈরি। প্রায় 10 ফুটের এই মশাটি।
পুজোর এক কর্তা জানালেন, যিনি মানুষকে দুর্গতি থেকে মুক্তি দেন তিনিই দুর্গা। কিন্তু সবটা তাঁর উপর ছেড়ে দিয়ে বসে থাকা যায় না। তাই প্যান্ডেলের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করতে চাইছি। প্যান্ডেলে মশার তলার অংশে কিছুটা জল রেখে দেওয়া হয়েছে। মানে উদ্যোক্তারা বোঝাতে চান জমা জলেই মশার জন্ম হয়। তাই জল জমিয়ে রাখলে আখেরে নিজেদেরই ক্ষতি হবে।
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পরিষদ সদস্য অতীন ঘোষ জানান পুজো উদ্যোক্তাদের কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। কলকাতা পুরসভা এ ধরনের কাজে সব সময় নাগরিকদের পাশে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীও ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগ রুখতে সচেতনার উপর জোর দেন। নতুন বছর পড়তে পড়তে ডেঙ্গি প্রতিরোধের বিজ্ঞাপনে শহরের মুখ ঢেকে যায়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।