গোটা শহর আবহাওয়ার ভ্রুকুটি, প্রবল যানজটের আশঙ্কা উপেক্ষা করে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। ঠাকুর দেখার জন্য। আজ মহাচতুর্থী। সেজে উঠেছে গোটা শহর আলোতে, আনন্দতে। এগরোল আর ফুচকা আবার চলে এসেছে চালকের আসনে। ভেঁপু-রবে মেতে উঠেছে শহর। শেষমুহূর্তের রূদ্ধশ্বাস কেনাকাটার ভিড়ে হারিয়ে গেলেন কত মানুষ! সবটাই তো কেবল এই উৎসবটার জন্যই। সারা বছর ধরে যার অপেক্ষা। উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সর্বজনীনের মণ্ডপ এবারে প্রতি বছরের মতোই নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছে। উত্তর কলকাতার পুজোর ভিড় দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের দিকেও কিছুটা টেনে নিয়েছে হাতিবাগানের পুজো, তার ঐতিহ্যের কারণেই। সেই ঐতিহ্যর সঙ্গেই এবার আধুনিকতার মেলবন্ধন।
এই যে সময়টায় আমরা এখন রয়েছি, তাকে প্রশ্ন করাই যেন মূল বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে হাতিবাগানে। কীভাবে আমরা দিনের পর দিন জড়িয়ে যাচ্ছি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার বা মোবাইল ফোন সমৃদ্ধ এই দুনিয়ার জালে। কীভাবে হারিয়ে গিয়েছে আমাদের কৈশোর ও যৌবন বা হাতে লেখা চিঠি। কীভাবে হারিয়ে গেল আমাদের লেটারবাক্স সমৃদ্ধ বিকেলবেলাগুলো, তার সবটাই থাকবে এই পুজোয়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।