দেবীর বোধন হতে এখনও দিন দুয়েক বাকি আছে। কিন্তু আর অপেক্ষা করতে নারাজ বাঙালি। শহর কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র পুজো এসেই গিয়েছে। এরই মধ্যে জমেছে দুশ্চিন্তার মেঘ। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে কাল পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি।
তারপর মেঘ কাটতে শুরু করবে। এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি যা তাতে পুজোর কটা দিন আবহাওয়া মোটের উপর ভালো থাকতে চলেছে। কিন্তু ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখা সেরা ফেলার পরিকল্পনা করা বাঙালিকে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড় তিতলি এ রাজ্যে হানা দেয়নি বটে কিন্তু তার প্রভাবে হচ্ছে বৃষ্টি। ওড়িশার গোপালপুরে আছড়ে পড়ার পর সেটি নিম্নচাপের আকারে এ রাজ্যের দিকে আসতে শুরু করেছে তার জেরেই হচ্ছে বৃষ্টি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে বেশি বৃষ্টি হতে পারে। মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। দীঘা থেকে শুরু করে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় রাজ্যের সমস্ত সামুদ্রিক এলাকাতেও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।