স্টার জলসা সব সময় বাংলার আইকন তৈরি করেছে যারা স্টাইল ও ফ্যাশন জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। শেষ কয়েক বছর ধরে জলসার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের স্টাইল বাংলার মানুষ অনুসরণ করেছে। বাহা শাড়ি থেকে শুরু করে পাখি চুড়িদার বা অরণ্যর দুর্দান্ত পোশাক- বাংলায় নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছে। আর দুর্গা পুজোর মরশুমে উৎসবমুখর বাঙালি নিত্যনতুন ফ্যাশনে সেজে ওঠে। আমাদের পকেটের অবস্থা যেমনই হোক না কেন, দুর্গা পুজোয় আমরা নিত্যনতুন পোশাক পরতে পছন্দ করি। আর এই বছর স্টার জলসাও দুর্গা পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন ফ্যাশনেবল তারকাকে নতুন রূপে সকলের সামনে হাজির করতে চলেছে।
রোদ্দুর(বিক্রম চট্টোপাধ্যায়): প্যাস্টেল শার্ট আর রিম-লেস চশমা
দুর্গা পুজোয় অনেকটা সময় প্যাঁচপ্যাঁচে গরমের মধ্যে অপেক্ষা করেই কেটে যায়। প্যান্ডেলের বাইরে লাইন, রেস্তোরাঁর বাইরে লাইন, রাস্তার জ্যামে গাড়ির লাইন, পুজোটা গরম আর ঘামেই কেটে যায় আমাদের। রোদ্দুরের মতো প্যাস্টেল শার্ট এবারের পুজোয় পরতে পারেন। প্যাস্টেল ফর্মাল বা ক্যাজুয়াল শার্টে দুর্গা পুজোর সকাল বা বিকেল যেকোনও সময় আপনাকে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর রঙে আকর্ষণীয় দেখতে লাগবে।
ফাগুন বউ-এ রোদ্দুর।
এই পুজোয় রোদ্দুর সকালে বা বিকেলে একটা ডেনিম প্যান্টের সঙ্গে প্যাস্টেল শার্ট পরে অবশ্যই ঘুরতে বেরোবে। আর আপনি?
ডালি(স্বস্তিকা দত্ত): কোল্ড শোল্ডার ব্লাউজ
ডালির কোল্ড শোল্ডার টপ এবং ড্রেস গত পুজোয় ফ্যাশনে ইন ছিল। এই বছর পুজোয় এক ধাপ এগিয়ে ডালিকে কোল্ড শোল্ডার ব্লাউজ পরতে দেখা যাবে।
ভজ গোবিন্দতে ডালি।
পুজোতে বাঙালি মেয়েরা শাড়ি পরবে না তা হতে পারে না। এই পুজোয় বাঙালি মেয়েদের পছন্দের শাড়িতে অন্য মাত্রা এনে দেবে কোল্ড শোল্ডার ব্লাউজ। পারিবারিক ভোজ বা সন্ধি পুজোর জন্য এই লুক একেবারেই আদর্শ।
জবা(পল্লবী শর্মা): ফ্লোরাল ব্লাউজ ও লিনেন শাড়ি
মেগা সিরিয়াল কে আপন কে পর-এ জবা বোট নেক ফ্লোরাল ব্লাউজের সঙ্গে লিনেন শাড়ি পরে সকলের মন জয় করে নিয়েছে।
কে আপন কে পর-এ জবা।
ষষ্ঠীর ব্রাঞ্চের জন্য একেবারেই আদর্শ লুক। অথবা অষ্টমীর সকালে অঞ্জলিতে মধ্যমণি হতে চাইলে জবার মতো বেছে নিন ফ্লোরাল প্রিন্টেড ব্লাউজের সঙ্গে লিনেন শাড়ি।
মহুল(ঐন্দ্রিলা সেন): রঙবেরঙের ঢাকাই শাড়ির সঙ্গে ট্রায়াঙ্গেল লটকন দেওয়া ব্রোকেড ব্লাউজ।
এক রঙের ঢাকাই শাড়ি আধুনিক মহিলাদের আলমারিতে থাকবেই। ফাগুন বউ ধারাবাহিকে মহুল অন্য রঙের ট্রায়াঙ্গেল লটকন দেওয়া ব্রোকেড ব্লাউজের সঙ্গে পরার পর থেকে সকলেই এই পুজোয় এই লুকটা ট্রাই করতে চাইবে।
ফাগুন বউ-তে মহুল।
সপ্তমির সকাল কিংবা নবমীর রাতে এই লুকটায় সেজে উঠতেই পারেন। এক রঙের শাড়ির সঙ্গে অন্য রঙের ব্লাউজে সত্যিই অসামান্য দেখাবে।
আকাশ(সইদ আরফিন): লিনেন ব্লেজারের সঙ্গে হর্ন-রিমড চশমা
পাওয়ার ড্রেসিং-এর প্রসঙ্গ উঠলে এই মানুষটা নিঃসন্দেহে সামনের সারিতে থাকবেন। মাত্র দুই মাসের মধ্যেই আকাশ ঘোষ মহিলাদের পুজোর ড্রিম ডেটে পরিণত হয়েছে।
ইরাবতীর চুপকথায় আকাশ।
লিনেন ব্লেজারের সঙ্গে হর্ন-রিমড চশমা আকাশের সিগনেচার স্টাইল। সকালে এই ধরণের সাজে সকলের নজর কাড়ার পর সন্ধ্যায় ব্লেজারটা খুলে এক রঙের টি শার্ট পরে আড্ডা দিতে পারেন বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে।
এই পুজয় দারুণ আনন্দ করুন, সুন্দর সুন্দর পোশাক পরুন আর প্রচুর খাওয়া দাওয়া করুন। পুজো খুব ভাল কাটুক!
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।