কাল বিসর্জন কার্নিভ্যাল। কাল সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধি সরণি দিয়ে যাবে বিশেষ শোভা যাত্রা। অংশ নেবে শহরের পঁচাত্তরটি পুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই কার্নিভ্যাল। তবে তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লেগে যায় অনুষ্ঠান মঞ্চে। নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় বড় আকার নিতে পারেনি আগুন।
শুধু প্রতিমা নয় মণ্ডপেরও খানিকটা তুলে ধরা হবে এই শোভাযাত্রায়। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত- সকলেই হাজির থাকবেন। অতিথি অভ্যাগতদের বসার জন্য বিশেষ মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। সেটা দেখতে রাজপ্রাসাদের মতো। শুধু তাই নয় মণ্ডপের মাধ্যমে বাংলার বহুবিধ সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার।
75 পল্লির পুজো কমিটির সম্পাদক সুবীর দাস জানালেন সেই প্রথম থেকেই আমরা কার্নিভ্যালে অংশ নিচ্ছি। এর আগে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের বিজেতা পুজো কমিটি গুলির নাম ঘোষণা হয়। প্রতিমা থেকে প্যান্ডেল আলো থেকে ভাবনা সহ একাধিক বিভাগে সেরাদের বেছে নেওয়া হয়েছে। মোট 75 টি পুজো কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রথম বিওশব বাংলা শারদ সম্মান দিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন সেরাদের নাম ঘোষণা করেন। উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার দুটি পুজোকে সাবেকিয়ানার জন্য আলাদা করে সম্মানিত করা হয়েছে। এই দুটি পুজো হল বাগবাগার এবং একডালিয়া এভারগ্রিন।
অন্যদিকে বাবু বাগান, যোধপুর পার্ক সর্বজনীন, মহম্মদ আলি পার্ক সেরা হয়েছে প্যান্ডেলের দিক থেকে। কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ, বাদামতলা আষাঢ়সঙ্ঘ, কুমোরটুলি সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় এবং সল্টলেক এফডি ব্লক সহ দশটি পুজোর প্রতিমাকে সেরা বেছে নেওয়া হয়েছে। ভাবনার দিক থেকে সেরা হয়েছে 12 টি পুজো। তার মধ্যে আছে সমাজসেবী সঙ্ঘ, চোরবাগান, হাতিবাগান সর্বজনীন, 75 পল্লি ভবানীপুর সহ আরও কয়েকটি পুজো। এই সমস্ত পুজোই এ মাসের 23 তারিখের কার্নিভ্যালে অংশ নেবে। পুজোর আকর্ষণ বাড়াতে কয়েক বছর হল এই বিষয়টি শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। এখানে ইন্দিরা গান্ধি সরণি (রেড রোড) দিয়ে প্রতিটি ঠাকুরকে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।