মানুষের অনুরোধেই কত অনুষ্ঠানের আসর বসে, কত গানের আবদার, কত গল্পের ফরমায়েস। আসলে বিনোদন জগতে শেষ কথা বলে জনগণই, সে দর্শক হন বা শ্রোতা। আর এই বিষয়ে উদাহরণ দিতে গেলেই মনে আসে এক ইতিহাসের কথা, বেতারের জগতে বোধহয় এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। সেই ঘটনা নিয়েই সিনেমা তৈরি করেছেন পরিচালক সৌমিক সেন। সিনেমার নাম মহালয়া। মুক্তি পেয়েছে সেই সিনেমার টিজার।
1931 সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা শাখা আকাশবাণী মহিষাসুরমর্দিনী নিয়ে একটি গীতি স্ত্রোত্র আলেখ্য তৈরি করে। রচনা করেছিলেন বাণীকুমার, গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠে ছিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। সঙ্গীত রচনা করেছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। দেড়ঘণ্টার এই চণ্ডীপাঠের অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ার পরে তা এত খানিই জনপ্রিয় হয় যে দুর্গাপুজোর আগে পিতৃপক্ষের অবসানের শেষ দিনে অর্থাৎ মহালয়ার দিনে এখনও সেই স্ত্রোত্রপাঠ না শুনলে বাঙালির পুজো শুরু হয়না। কিন্তু একবারই 1976 সালে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের ওই আলেখ্য না সম্প্রচার করে নতুন একটি আলেক্ষ্য সম্প্রচারিত করে। এই নতুন আলেক্ষ্যয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণের বদলে স্ত্রোত্র পাঠ করেন মহানায়ক উত্তম কুমার। কিন্তু তা সম্প্রচারিত হওয়ার পরেই মানুষ মেনে নিতে পারেননি। আকাশবাণীর কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। আকাশবাণী বাধ্য হয়ে আবার ষষ্ঠীর দিনে বীরেন্দ্রকৃষ্ণের মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচার করে। এই বিষয়টিই নিজের প্রথম বাংলা সিনেমায় তুলে ধরছেন সৌমিক সেন।
দেখুন টিজার
এর আগে হিন্দি ভাষায় ‘গুলাব গ্যাং’ সিনেমাটি পরিচালনা করেন সৌমিক। ‘মহালয়া’ সিনেমায় উত্তম কুমারের ভূমিকায় দেখা যাবে যীশু সেনগুপ্তকে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এই সিনেমার প্রযোজক। সিনেমায় রয়েছেন শুভাশিষ মুখোপাধ্যায়, শুভময় চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের মার্চ মাসে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।