পুজোয় শহরের এপ্রান্ত থেকে সে প্রান্তে যেতে অনেকেরই ভরসা মেট্রো। পুজোর জন্য তৈরি থাকার কথা বলেছেন মেট্রো কর্তারাও। কিন্তু তাল কাটল প্রথম দিনেই। মহাষষ্ঠীর দুপুরেই পাতাল পথে দেখা দিল বিভ্রাট। প্রায় পনেরো মিনিট ব্যহত হল পরিষেবা। দমদমের দিকে যাওয়া একটি মেট্রো আচমকাই সেন্ট্রাল স্টেশনে আটকে যায়। সূত্রের খবর বিদ্যুতের লাইনে বিভ্রাট হওয়াতেই দেখা দেয় সমস্যা। বেলা সোয়া দুটো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত চলে বিভ্রাট। সকাল থেকেই ‘প্যান্ডেল অভিযানে’ নামা শহরবাসীর বেশ কিছুটা সমস্যা হয়। বাড়তে থাকে ভীড়ের চাপ। বেশ কিছুটা সময় পরে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।
এদিকে, ভিড়ের সময় এস্ক্যালেটর যাতে বিকল না হয় তার জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। কোনও এস্ক্যালেটর খারাপ হয়েছে খবর পেলেই কাজ শুরু করে দেবেন তাঁরা। এর ফলে সময় বাঁচবে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় যাত্রীদের অসতর্ক চলাচলের জেরে সিঁড়ি আটকে গিয়েছে। কিন্তু আশপাশে বিশেষজ্ঞরা থাকলে সেই আশঙ্কা কমে আসবে। তাছাড়া পুজোর সময় শহরের বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ কলকাতায় আসেন। আভ্যাস না থাকায় এস্ক্যালেটরে উঠতে বেগ পেতে হয় তাঁদের। সেটাও দেখবেন এই কর্মীরা। পাশাপাশি নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। বেড়ছে মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যাও । কিন্তু প্রথম দিনেই বিভ্রান্তি দেখা দেওয়ায় আগামী দিন গুলিতে কী হবে তা নিয়ে চিন্তিত যাত্রীরা।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।