পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরোনো হোক বা মণ্ডপে আড্ডা। সব কিছুকে জুড়ে খাবার দাবারের একটা বড় ভূমিকা থেকে যায়। তবে দুপুরের মূল খাবার বা রাতের খাবার বাদেও পুজোয় আড্ডা দিতে দিতেও সর্বক্ষণ কিছু না কিছু খাবার না হলে ঠিক জমে না। হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন আর। এখন থেকেই কিছু খাবার বেছে রাখুন আপনার লিস্টে। দেখে নিন ঠাকুর দেখার ভিড়ে খিদে পেয়ে গেলে বা গল্পের আড্ডায় কোন কোন খাবার হতে পারে আপনার সঙ্গী।
মটন চপঃ চপের নানা বৈচিত্র্য আমাদের সবারই জানা। বিকেলের টিপিনে চপের মতো মুখরোচক কিছু নেই। তবে মাংসের চপের মধ্যে মটন চপ হল সেরা। পুজোয় একবার সুযোগ বুঝে খেতেই হবে মাটন চপ
চিংড়ি কাটলেট: কাটলেট বিষয়টাই নানা বৈচিত্রে পাওয়া যায়। চিকেন, মাছ, নিরামিষ বা চিংড়ির। আড্ডার মাঝে চিংড়ির কাটলেট আপনার পেট বেশ কিছুক্ষণ ভরাও রাখবে।
নোনতা বড়া: ডালের বড়া ভাজা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ কমই। মুখরোচক এই বড়া কাসুন্দি দিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে খিদে না পেলেও আরামসে খেতে পারেন এই বড়া ভাজা।
মটন ঘুগনি: মটন চপের কথা যখন উঠলোই, মটন ঘুগনিই বা বাদ থাকে কেন? ঝাল ঝাল করে বানানো মটন ঘুগনি পুজোর সন্ধ্যার আদর্শ খাবার! নিরামিষাশীরা অবশ্য সাধারন ঘুগনি দিয়েও পেট ভরাতে পারেন।
শাম্মি কাবাব: কাবাব চটজলদি খাবারের জন্য বেশ ভালো। মুখে দিলেই শাম্মি কাবাবের টেস্ট আপনার ঠাকুর দেখার ক্লান্তিও ভুলিয়ে দিতে পারে।
পাটিসাপটা: শেষ পর্যন্ত, এসে থামা যাক মিষ্টিতে। মিষ্টি মুখ না হলে বাঙালির পুজো অসমাপ্তই থেকে যায়। আর বাঙলার নিজস্ব পাটিসাপটা আমাদের জিভের কোরক ছুঁয়ে তার স্বাদ নিয়ে মনের গভীরে পৌঁছে যায় যেন। নারকেল পুর দিয়ে বাড়িতে তো বানাতে পারেনই এই পিঠে। নাহলে দোকানে নানা রকমের সম্ভার তো আছেই।
উত্সবের এই ঋতুকে আরও আপন করে নিতে খাবারই হোক আপনার সঙ্গী। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরার পাশাপাশি পেট ভরিয়ে রাখতেও ভুলবেন না। এই লিস্ট হাতে করে বেরিয়ে পড়ুন ঠাকুর দেখতে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে জমিয়ে চলুক পেট পুজো।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।