আজ মহাসপ্তমী। পুজোর উদযাপন এখন মধ্যগগনে। দুর্গাপুজোয় উদযাপনে মেতেছেন আট থেকে আশি সকলেই। চলছে সন্ধ্যে থেকে রাত জেগে ঠাকুর দেখা। আর প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে গিয়ে পেটেও টান পড়ছে নিশ্চয়ই? কী খাবেন ভেবে পাচ্ছেন না? কলকাতা তো বিখ্যাত স্ট্রিটফুডের জন্যই। আমাদের এখানে রইল সেই সব খাবারের তালিকা। পকেটে লিস্ট নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, জমিয়ে হোক হুল্লোড় আর পেটপুজো।
এখানে রইল প্যান্ডেল ঘোরার সময় মুখরোচক কয়েজটি খাবারের তালিকাঃ
1. কাঠি রোল
মাংস, সবজি আর সস দিয়ে তৈরি রোল জনপ্রিয়তম স্ট্রিটফুড। প্যান্ডেল গুরে ঠাকুর দেখতে দেখতেই কামড় বসান কাঠি রোলে।
2. মোগলাই পরোটা
যদি বসে আড্ডা মারা আর খাওয়া দওয়ার সময় থাকে তাহলে একপ্লেট মোগলাই অর্ডার করি বসুন। মাংসের পুর ভরা ডিম দিয়ে ভাজা পরোটা কলকাতার কেবিন খাদ্যাভ্যাসের অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় সব দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলের পাশেই আপনি পরোটার দোকান পাবেনই।
3. ঘুগনি
পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রাস্তার পাশের ঝালঝাল ঘুগনির স্বাদ না নিলে পুজোর হুল্লোড় জমে না। উপরে কাঁচা পেঁয়াজ, লঙ্কা আর ধনে পাতা দেওয়া ঘুগনি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড। নিরামিষ ঘুগনির পাশাপাশি মাংসের ঘুগনিও খেতে পারেন।
4. মিষ্টি
মিষ্টিমুখ ছাড়া পুজো পার্বন আর যে কোনও উৎসব সম্পন্ন হতেই পারে না। ক্ষীর কদম্ব, কাঁচা গোল্লা, রাজভোগ আর অবশ্যই রসগোল্লা- পুজোর আনন্দ মিষ্টি ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। এছাড়াও লবঙ্গ লতিকা, জিভে গজা, পান্তুয়া, ছানার জিলাপি তো রইল রসা তৃপ্তির জন্য।
5. কলকাতা বিরিয়ানি
নাম শুনেই মন ভালো হয়ে গেল নিশ্চয়ই? কলকাতার বিরিয়ানির ঐতিহ্যই আলাদা। সুগন্ধি চাল, নরম মাংস এবং অসাধারণ সব মশলা দিয়ে তৈরি করা হয় এই বিরিয়ানি। কলকাতা বিরিয়ানিকে লখনৌর বিরিয়ানির একটি উপসংস্করণ বলা যায়। মাংস ছাড়াও ডিম ও নরম মশালাদার আলু এই বিরিয়ানির স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয়।
6. চপ
চপ রকমারী। মাংস থেকে শুরু করে সয়াবিন, পনীর, মোচা, আলু কীসের চপ হয় না! মাছের চপ বা মাংসের চপ তো রয়েইছে পুজোয় পেট ভরানোর জন্য, ভেজিটেবল চপ বা আলুর চপেরও নতুন করে প্রেমে পড়তে পারেন এই সময়। টমেটো সস বা পুদিনা পাতার চাটনি বা বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাসুন্দি দিয়ে এই পুজোয় চপ খান জমিয়ে।
7. ফুচকা
বাঙালির পুজোয় ঘুরতে বেরিয়ে ফুচকা খাওয়া হবে না এমনটা হতেই পারে না। আলুর মুখরোচক পুর দিয়ে তেঁতুল জলে ডোবানো ফুচকার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে।
দুর্গা পুজো 2018: ফুচকার নানা নাম, কোথাও গোলগাপ্পা কোথাও বা আবার পানিপুরি
8. চুরমুর
ফুচকার স্টলে গিয়ে স্বাদ বদলাতে পারেন চুরমুর দিয়েও। চুরমুরের মতো লোভনীয় স্বাদের স্ন্যাকস খুব কমই আছে। ফুচকাকে গুঁড়ো করে তার সাথে আলু আর মশলা যোগ করে টক চাটনি বা তেঁতুল জল দিয়ে মেখে লঙ্কা, ধনে পাতা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশিত হয় এই চুরমুর।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।