দুর্গা পুজো (Durga Puja) এলেই বাঙালির মনে বাসা বাঁধে স্মৃতিমেদুরতা। স্মৃতিমেদুরতায় একে একে ভেসে আসে পুজোর গান, হারিয়ে যাওয়া প্রেম, হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জন, হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলা... সব স্মৃতি একে একে ভিড় করে আসে মনে।
আমাদের ছোটবেলায় আনন্দমেলার মতোই পুজো মানেই ছিল পুজোর গানের অ্যালবাম। আগে বাংলা আধুনিক গান মানেই ছিল বিভিন্ন বিখ্যাত শিল্পীদের অ্যালবামের গান। কিন্তু আস্তে আস্তে সিনেমার গানের ভিড়ে সে রীতি চাপা পড়ে যায়। তবে এবছর পুজোয় সে সব স্মৃতি ফেরত আসতে চলেছে পরিচালক-সুরকার দ্রোণ আচার্যের হাত ধরে। হারিয়ে যাওয়া প্রেম থেকে শুরু করে শরতের কাশফুল, পেঁজা তুলোর মতো মেঘ, হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষ সকলের স্মৃতিকেই আরও একবার আমাদের মনে তাজা করে তুলে ধরতে চলেছেন তিনি।
নতুন অ্যালবামে রয়েছে চারটে গান। চারটে গানের মধ্যে দিয়েই হারিয়ে যাওয়া দিনের ছবি আঁকা হয়েছে। কিন্তু চারটে গানের জ্যর পুরোপুরি আলাদা। কোনও গানের মধ্যে দিয়ে ফিরে যেতে চাওয়া হয়েছে হারিয়ে যাওয়া প্রেমের কাছে, কোথাও বা ছোটবেলার কোনও স্মৃতি, আবার কোথাও বা মনে করা হয়েছে এমন কোনও প্রিয়জনকে যে আর কোনও দিন ফিরে আসবে না।
চারটে গানেরই সুরকার দ্রোণ আচার্য। তবে এখনও পর্যন্ত দুটো গান তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে একটা গেয়েছেন রূপঙ্কর বাগচী। তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে তিনি মনে করছেন পুরোনো প্রেমের কথা। পুরোনো প্রেম সুরঞ্জনা কেমন আছে এখন তা জানতে ইচ্ছে করছে তাঁর! গানটি লিখেছেন সারণ দত্ত।
অপর গানটি গেয়েছেন শ্রীকান্ত আচার্য। তাঁর গানের মধ্যে দিয়ে তিনি মনে করেছেন হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জন 'মেঘ পিয়ন' অর্থাৎ ঋতুপর্ণ ঘোষকে। গানটি লিখেছেন শ্রীকান্ত আচার্যের স্ত্রী অর্না শীল। গানটা ঋতুপর্ণ ঘোষের কথা মাথায় রেখেই লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দ্রোণ আচার্য। বাকি দুটো গান লেখা হলেও এখনও পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়নি।
সুরকার দ্রোণ আচার্য জানিয়েছেন, "গত 5-6 বছর ধরে বাংলা পুজোর গান বিষয়টাকে অত্যন্ত তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। আমরা সকলেই সম্পূর্ণ ভালোবাসার জায়গা থেকে কাজটা করেছি বাংলার মানুষদের জন্য।" এছাড়াও তিনি জানান, "অ্যালবামে এমন শিল্পীদের দিয়ে গান করানো হয়েছে যাঁদের পুজোর গান একসময় বিখ্যাত ছিল। শ্রীকান্ত দা, রূপঙ্কর দা এই অ্যালবামে গান করেছেন।" বাকি দুটো গান কে গাইবেন তা এখনও ঠিক না হলেও তিনি আভাস দিয়েছেন এমনই কোনও শিল্পীর কণ্ঠেই বাকি গান দুটোও শোনা যাবে।
শ্রীকান্ত আচার্যর গাওয়া 'হলদে চিঠি' ও রূপঙ্কর বাগচীর গাওয়া 'সুরঞ্জনা' গান দুটোর প্রোমো ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে। প্রথমে হলদে চিঠির প্রোমো দেখে নিন এখানে:
এবার দেখুন সুরঞ্জনার প্রোমোঃ
রূপঙ্কর বাগচীর গানে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানিমেশন। অন্যদিকে, শ্রীকান্ত আচার্যের গানে দেখা যাবে তাঁর ছেলে মহুলকে, যে গানে গায়ক নিজে কিছুটা কথকের ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া, হলদে চিঠি গানের সঙ্গে গিটারও বাজিয়েছে মহুল শীল আচার্য।
এই মাসের মধ্যেই সব ক'টি গান ডিজিট্যালি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।