পুজো মানে যেমন খুশি খাবার বহু প্রতীক্ষিত দিন। মোগলাই থেকে চাইনিজ, ইতালিয়ান থেকে দক্ষিণি সমস্ত স্বাদের নানান খাবার চেখে দেখার বিরাট সুযোগ। পুজোর চার দিনে চার রকম খাবার খেতে ইতিমধ্যেই প্ল্যান করে ফেলেছেন অনেকে। তবে অষ্টমীর দিনে অঞ্জলি দিয়ে খাঁটি বাঙালি স্বাদ না হলে পেট আর মন মোটেই ভরে না। কলকাতার পুজোর অন্যতম ঐতিহ্য হল রাজবাড়ির পুজো। এই রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়িতে পুজোর দিনে ঠিক কী কী খাবার হয়? সেই সমস্ত খাবার নিয়েই তৈরি হলিডে ইন কলকাতা এয়ারপোর্টের রেস্তোরাঁ সোশ্যাল কিচেন। বিখ্যাত সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার, শোভাবাজার রাজবাড়ি ও রাণী রাসমনীর বাড়ির পুজোর খাবারই এই রেস্তোরাঁর বৈশিষ্ট্য। অষ্টমীর দিন জমিয়ে জমিদারি খানা খেতে চলে আসুন এই রেস্তোরাঁয়।
রায়তোয়ারি মাংস কষা
তারিখ: 16 অক্টোবর থেকে 21 অক্টোবর, 2018
সময়: দুপুর 12:30টা থেকে বিকেল 3:30 টে এবং সন্ধ্যে 7 টা থেকে রাত্রি 11 টা
খরচ; 1250 টাকা + ট্যাক্স (লাঞ্চ) এবং 1450 + ট্যাক্স (ডিনার)
ঠিকানা: সোশ্যাল কিচেন, হলিডে ইন কলকাতা বিমানবন্দর, বিশ্ববাংলা সরণি, রাজারহাট, চিনার পার্কের কাছাকাছি, কলকাতা 700136
সোশ্যাল কিচেন দুর্গাপুজোর মেনু 2018
লাঞ্চ এবং ডিনার বুফে
স্যুপ:
মুরগি রসুন জিরে ফোঁড়ন দিয়ে, টমেটো তুলসি শোরবা, মুলিগাতাওনি (আমিষ, নিরামিষ), নলিনী কুমড়ো মুরগি রসুয়া ও মুগ ডালের শোরবা।
ঐতিহ্যের মিষ্টি
মুখরোচক:
ডালের বড়া ও মুরগির বড়া
স্যালাড;
গার্ডেন গ্রীণ স্যালাড, আলু শুকনো লঙ্কা মাখা, বেগুন পোড়া, কুমড়ো রাঙা আলু ভাপা, শাক ভাজা, পাঁচ মিশালি শাকভাজা, চাটনী খেজুর আমসত্ত্ব, টমাটো চাটনি, পেঁপের চাটনি, পোস্ত মাখা, দই বড়া, পাঁপড় ভাজা লঙ্কা কাসুন্দি।
মূল খাবার;
পাঁচ মিশালি ভাজা (লম্বা বেগুন, পতল, আলু, কাঁকরোল), ঠাকুর দালান পোলাও, ঠাকুরবাড়ির সোনামুগ ডাল, রাজবাড়ির মাছের মাথা দিয়ে ডাল, রাসে শুক্তোনি, রায়তওয়ারি মাংস কষা, দিওয়ান-ই-রাজ মুর্গ, রাজশাহী রুই পোস্ত, বেতোরি পটল পুর ডালনা, গোবিন্দপুরি রাজশাহী ছানার কোফতা, বনেদিবাড়ির ফুলকপি কড়াইশুটির টক, ময়মনি আলু ঝিঙে পোস্ত, চালতার অম্বল, তেঁতুলের অম্বল, কুলের অম্বল।
পাঁচ মিশালি ভাজা
মিষ্টির রকমফের:
রসগোল্লা, রাজশাহী বালুসাই, ফ্রুট মুস, জিভে গজা, ম্যাঙ্গো মুস, নারকেল দরবেশ, চকলেট মুস
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।