আর একেবারেই বেশি দেরি নেই। নতুন জামা রেডি, শাড়ির ম্যাচিং ব্লাউজ বানাতেও দেওয়া হয়ে গেছে, জুতো থেকে শুরু করে ব্যাগ সব এক্কেবারে রেডি। এবার হাতে খাতা পেন নিয়ে বসে পড়ার পালা। নাহ, পুজোর পড়াশোনা নয় বরং হিসেব নিকেশ হয়ে যাক চার দিনে কোথায় কোথায় পেটের পুজো সারবেন আপনি। দুর্গাপুজো মানেই অন্তত চারদিন জমিয়ে আড্ডা আর ডায়েট চার্টকে ছুটি দিয়ে মনের সুখে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। সর্বভুক জাতি বলে বাঙালি ইতিমধ্যেই বেশ নামডাক করেছে। রাজকীয় মেজাজে যদি এই ছুটি কাটাতে চান তাহলে চারদিনের একদিন অবশ্যই শরণাপন্ন হন মুঘল খানার। আর কলকাতায় আউধ 1590তে না গেলে এই সাধ ষোলোআনা মিটবে না একেবারেই। দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে আউধ তাই মুঘল স্বাদের আরও সম্ভার নিয়ে এসেছে ভোজন রসিক বাঙালির জন্য। নিরামিষ আমিষ সবরকম আইটেমই রয়েছে আপনার জন্য।
দেখে নিন পুজোর দিনে আপনার পেটের শান্তি মনের আরামের জন্য কী কী খাবার অপেক্ষা করে রয়েছে।
শরবতঃ বাদাম শরবত
স্টার্টার: শিক কাবাব, গলৌটি কাবাব, আওয়াধি সুগন্ধি মাহি, শাহী দহি কাবাব, জাফরানি কাবাব, কলমী কাবাব, কর্ন শিক কাবাব।
মূল খাবার: রান বিরিয়ানি, গোস্ত মেটিয়াবুরুজ বিরিয়ানি, ঝিঙে বিরিয়ানি, লখনৌ পরোটা, ব্রেন মশলা, নেহারি খাস, কীমা কলেজি, মুর্গ কষা, মুর্গ ইরানি, মুর্গ রেজালা, গোস্ত ভুনা, গস্ত রেজালা, ডাল গোস্ত, মাহি কালিয়া, ইরানি ঝিঙে মশলা, আওয়াধি ডাল, পনীর কোর্মা, শাহি ডাল, আওয়াধি দম আলু।
পুজোয় আউধে মুঘল খানার সম্ভার
ডেজার্ট: শাহী টুকরা, গাজরের হালুয়া
শেফের পছন্দ: জাফরানি কাবাব, গলৌটি কাবাব, লখনৌ পরোটা, কলমী কাবাব, আওয়াধি সুগন্ধী মাহি, আওয়াধি হান্ডি বিরিয়ানি, মুর্গ ইরানি, গোস্ত ভুনা, মাহি কালিয়া
মুর্গ জাফরানি কাবাব
অবস্থান: আউধ 1590- 23 / বি দেশপ্রিয় পার্ক, কলকাতা;
সিডি -86, সেক্টর 1, সল্ট লেক সিটি;
পি 562, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় সরণি, কলকাতা-700029 (কমলা গার্লস স্কুল, বিবেকানন্দ পার্কের পিছনে)
সময়: দুপুর 12:00 টা থেকে বিকেল 3:30। সন্ধ্যা 6:00 টা থেকে রাত 10:30 টা
দাম- 1200 টাকা প্লাস ট্যাক্স (দু’জনের জন্য)
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।