দুর্গা পুজো মানে আবেগের ডাকে সাড়া দেওয়া। আর এবার পুজোয় বাঙালির সেই আদি অকৃত্রিম ভাবাবেগকে উস্কে দিল চালতা বাগান। পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
পুজোর চেয়ারম্যান সন্দীপ ভুতোরিয়া বলেন, গতবছর আমাদের পুজোয় কবি সাহিত্যকরা এসেছিলেন। এবার আমাদের মণ্ডপ জুড়ে শুধুই থাকবেন রবীন্দ্রনাথ। আমার মনে হয় গৌরবময় ইতিহাসের কথা মনে রেখে কলকাতাকে সাহিত্যের শহর তকমা দেওয়া উচিত।
দেখুন ভিডিও:
সাহিত্যের শহর স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয় চলে আসছে 2004 সাল থেকে। এর আগে বাগদাদ ( ইরাক), মিলান (ইতালিl, নরউইচ (বিলেত), এডিনবরা ( স্কটল্যান্ড), প্রাগ ( চেক প্রজাতন্ত্র ), মেলবোর্ণ (অস্ট্রেলিয়া ), গারান্দা বার্সেলোনা (স্পেন), ডাবলিন ( আয়ারল্যান্ড ) – সহ আরও কিছু শহর এই তকমা পেয়েছে।
চালতা বাগানের এবারের পুজোর শুরু থেকে শেষ শুধুই রবীন্দ্র ভাবনা। তাঁর সৃষ্টিই মণ্ডপের প্রধান বিষয়বস্তু। পাশাপাশি থাকছে তাঁর লেখা বই। মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির এই পুজো দীর্ঘদিন ধরেই শহরের পুজো মানচিত্রে অন্যতম চেনা নাম। তারকা সমাবেশয় এই পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে জড়িয়ে। এবার পুজো উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।