23 বছর পর দুর্গা পুজোর নতুন গান রেকর্ড করলেন আশা ভোঁসলে। প্রয়াত সংগীত বিশেষজ্ঞ ও স্বামী আর ডি বর্মনের সঙ্গে ও এককভাবে 66 টি পুজোর গান করেছেন আশা। তাঁর নতুন অ্যালবামের নাম "এবার পুজোয় এলাম ফিরে"। গত 8 ই অক্টোবর মুক্তি পাওয়া অ্যালবামের নাম "পুজোয় আশা" যে অ্যালবামে বিখ্যাত সংগীত শিল্পী অমিত কুমারও গান গেয়েছেন। তাঁর গাওয়া গানের নাম "সুরে তুমি"।
"আশা জির সঙ্গে কাজ করতে পেরে স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। প্রায় 23 বছর পর তিনি পুজোর অ্যালবামে গান গেয়েছেন। তাঁকে রাজি করাতে সমস্যা হয়েছে যেহেতু তিনি পঞ্চম দার মৃত্যুর পর থেকে বাংলা পুজোর অ্যালবামে গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন", ওই অ্যালবামের অন্যতম কম্পোজার শিলাদিত্য চৌধুরী আইএএনএস-কে জানিয়েছেন।
দেখুন ভিডিও :
1960 এর দশক থেকে বাঙালির কাছে বিনোদনের অন্যতম সেরা আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল দুর্গা পুজোর গানের অ্যালবাম। বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গা পুজোয় বাংলা গানের অ্যালবাম হয়ে উঠেছিল আনুষঙ্গিক অংশ।
আশা ভোঁসলে, লতা মঙ্গেশকর, আর ডি বর্মন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, কিশোর কুমারের পুজোর অ্যালবাম এক সময় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
এছাড়াও মিস্টার চৌধুরী জানান, বাংলা পুজোর গান আশা ভোঁসলে নিজেও খুব পছন্দ করেন।
1963 সালে মুক্তি পাওয়া "আমার খাতার পাতায়" আশা ভোঁসলের গাওয়া প্রথম পুজোর গান, যা মান্না দে কম্পোজ করেছিলেন।
ককিন্তু আজ থেকে 50 বছর আগে 1968 সালে তিনি প্রথম আর ডি বর্মনের সুরে পুজোর গান গেয়েছিলেন। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের লেখা আর ডি বর্মনের সুরে "এই এদিকে এসো" এবং "যাবো কি যাবো না" তাঁর গাওয়া প্রথম পুজোর গান।
এছাড়াও তাঁর গাওয়া ব্লকবাস্টার গান হল "দুর্গে দুর্গে দুর্গতিনাশিনী" এবং "ময়না বলো তুমি কৃষ্ণ রাধে"।
এবারের পুজোর গান '"এবার পুজোয় এলাম ফিরে" তাঁর 85 তম জন্মদিনের ঠিক এক সপ্তাহ পরেই রেকর্ড করা হয়েছিল।
মিস্টার চৌধুরী জানান, "গান রেকর্ড করার সময় তিনি পঞ্চম দার সঙ্গে তাঁর রেকর্ডিং-এর স্মৃতিচারণ করছিলেন। অনেক দিন পর মানুষ তাঁর গান শুনতে পারবে ভেবে খুব খুশি হয়েছিলেন"। গানের সহকারী কম্পোজার হলেন রাজ রায় এবং গানটি লিখেছেন উৎপল দাস।
অমিত কুমারের 14 বছর পর রেকর্ড করা পুজোর গান "সুরে তুমি"। 1973 সালে তিনি প্রথম তাঁর বাবা কিশোর কুমারের ছত্রছায়ায় "জিনিসের দাম বেড়েছে" এবং "মনে মনে কত দিন" এই দুটো গান রেককর্ড করেছিলেন যা অত্যন্ত সাফল্য লাভ করেছিল।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।