যৌথ পরিবার নেই। তাতে কি! একসঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার স্বাদ এখন এনে দিচ্ছে শহরের আবাসনগুলো। বেশির ভাগ আবাসনেই ১০০ থেকে ২০০ বা ৪০০ পরিবারের এক সঙ্গে বাস। সারা বছরের পুজো পার্বণ অনুষ্ঠান ঘিরে অনবরত আবাসিকদের মধ্যে যোগাযোগ থেকেই যায়। আর সেই যোগাযোগের হাত ধরে আবাসনগুলোই হয়ে উঠছে পাড়া তথা যৌথ পরিবারের বিকল্প। আর আবাসনের পুজোতেই এখন পাওয়া যায় যৌথ পারিবারিক পুজোর মেজাজও। যেমন নরেন্দ্রপুর এলাকার আবাসন সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
ঠাকুর আনা থেকে মায়ের ভোগ, পুজোর কাজ তো বটেই, আরও যা যা দায়িত্ব—সবই আবাসনের মহিলারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। যার যার নিজের সংসার সামলেও সুযোগ পেলেই সকলে ছুটছেন পুজোমণ্ডপে। যতটা পারছেন সেরে রাখছেন পুজোর জোগার। আর সুচারূভাবে সব দায়িত্ব পালন করে দেখিয়েও দিয়েছেন আসলে সকল মেয়ের মধ্যেই কোথাও না কোথাও একজন দশভূজা জগজ্জননী বিরাজমান রয়েছেন।
আবাসিকেরা জানালেন, শুধুমাত্র পুজোই নয়, চার দিন ধরে থাকে ভূরিভোজেরও আয়োজন। সকলে মিলে এক সঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়া, হাসিমস্করা চলতেই থাকে। পাশাপাশি থাকে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান। এ বছর সপ্তমীর দিন থাকছে বিশেষ আয়োজন। সেখানে আবাসিকদের মধ্যে নানা প্রতিযোগিতা হবে। উলুধ্বনি দেওয়া, শঙ্খ বাজানো, ছোটদের ফ্যান্সি ড্রেস প্রতিযোগিতায় মেতে উঠবেন সকলে মিলে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।