মানবসভ্যতাকে গ্রাস করেছে কংক্রিটের জঙ্গল। দেশলাই খোপের মতো সার সার দশ ফুট বাই দশ ফুটের ঘরের ভিড়ে দেখা নেই মুক্তির বারান্দার যেখানে দু’দণ্ড বসে মানুষ জিরিয়ে নিতে পারবে। আগে সারা দিনের খাটাখাটনির শেষে মানুষ ক্লান্তি কাটানোর জন্য নিজের বাড়ির ছোট বারান্দায় বসে একটু জিরিয়ে নিত।
এখানে দেখুন:
এখন নেই সেই সিংহ দুয়ার, নেই সেই বারান্দা। অথচ উত্তর কলকাতার নস্টালজিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বারান্দা। প্রথম প্রেম থেকে, হাঁক পেড়ে ফেরিওয়ালাকে ডাক— সব কিছুরই স্মৃতি এই বারান্দাই। সেই হারিয়ে যাওয়া বারান্দাকেই পুজোর থিমে তুলে আনছে কাশী বোস লেনের পুজো। তাদের থিম ‘আমার অলিন্দে’। থিম শিল্পী প্রদীপ দাস। পুরনো দিনের বাড়ির বারান্দায় যেমন করে রাখা থাকত বাড়ির সাইকেল, স্কুটার তেমনই দেখা যাবে এখানেও। আলো আঁধারিতে মনে হবে যেন পৌঁছে গিয়েছেন পুরনো কলকাতার কোনও এক বাড়িতে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।