"তুমিই বলো, না তুমি, না না তুমি..."
বাঙালির জিয়া এ গানে যতই নস্টাল হোক না কেন, এ বার পুজোয় কিন্তু উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে গুনে গুনে গোল দেবে সুজয়দা আর পুঁচকি। কারণ কলকাতা পুলিশ বলছে, "সুজয়দা-পুঁচকির জুটি শুধু মিষ্টি নয়, দায়িত্ববানও"। ঠাকুর দেখতে বেরিয়েও মাথা তাঁদের ফাঁকা নয়, কেত মেরেও সঙ্গে রয়েছে হেলমেট।
বাঙালি চিরকাল কুপোকাৎ বচ্ছরকার ওই চারটে দিনে। প্যাঁচপ্যাঁচে বর্ষায় মাল্টিপ্লেক্সের হলে ঢুকে সিনেমায় ঢ্যাং কুড়কুড় শুনলেও মনে ওমনি শিউলি শিউলি গন্ধ। সবেমাত্র পুজোবার্ষিকী পাতে পড়তে না পড়তেই হাতেগরম পুজো ম্যাসকট সুজয়দা-পুঁচকির মিষ্টি জুটি।
একটি বিপণন সংস্থার হাত ধরে বাজারে আসা নয়া বিজ্ঞাপনের দুই চরিত্রই এই সুজয়দা আর পুঁচকি, আর তা পাতে থুড়ি ইউ টিউবে পড়তেই টপাস করে গিলে নিয়েছে কলকাতা পুলিশও। উদ্দেশ্য একটাই, আর যেন কারও বিপদ না হয়, সচেতন হোন, হেলমেট ব্যবহার করুন।
হেলমেট সাথে, সুরক্ষা হাতে pic.twitter.com/crM8EuLLhh
— DCP Traffic Kolkata (@KPTrafficDept) September 29, 2018
শুধু পুলিশ কেন, সিনেমা হিট করার ফর্মুলা ওয়ানও কিন্তু আসলে পুজোই। পুজোর গা ঘেঁষে রিলিজ মানেই সপ্তমী, নবমী আর দশমী সকালের ইয়ং ক্রাউড পাক্কা। অষ্টমীটা অঞ্জলিতেই থাক। আর যদি বছরের মাঝে রিলিজ হয়, তা হলে স্ক্রিন প্লে-তে "বলো দুর্গা মা কি" দেখিয়ে দিলে হলেই অকাল বোধন। ঢাকের তালে দুলবে না এমন কোমর বাঙালি ঘরে দূরবিন হাতে খুঁজলেও পাওয়া বিস্তর ঝক্কির।
আপাতত শেষ ব্রেক আপের রেশটুকু মুছে ফেলুন। হাতে আর দিন পনেরো, আর পুজোয় ফিল্ম রিলিজ বাকি এক সমুদ্দুর। নিজের পুঁচকিকে বাইকের ব্যাকসিটে বসিয়ে ডেস্টিনেশন সোজা সাউথ সিটি-হপিং। আর হ্যাঁ অপটু তাঁতের শাড়ি হোক বা নতুন পাঞ্জাবি আর ল্যাজেগোবরে ধুতি, এ বার পুজোয় হেলমেটটাই কিন্তু আসল স্টাইল স্টেটমেন্ট।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।