আবারও কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সুরুচি সঙ্ঘের থিম সং লিখেছেন তিনি। গতবারও এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন মমতা। তাঁর লেখা গান গেয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। এবার সেই কাজটি করবেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা জানান, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁকে থিম সং লেখার অনুরোধ করেন। সেই অনুরোধ গ্রহণ করেই কলম ধরেন মমতা। তিনি বলেন, এবারের গানটিতে আগমনীর বার্তা থাকছে। গত বছরের গানে ছিল ভারতের বহুবিধ বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের কথা। দর্শক মহলেও প্রশংসিতও হয়েছিল সেটি। নেতাজি ইন্ডোরের এই অনুষ্ঠানে গানটি গেয়ে শোনান ইন্দ্রনীল।
এমনিতে পুজো এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। শহরের এপ্রান্ত থেকে সে প্রান্ত ছুটে বেড়ান পুজো উদ্বোধন করতে। আর গত বছর থেকে শুরু হয়েছে থিম সং লেখার কাজ। অন্য সময়ে পুজো উদ্যোক্তাদের থিম বাছার ব্যাপারে সাহায্যও করেন মমতা। তাছাড়া নিয়মিত গল্প বা কবিতাও লেখেন তিনি। অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরও কবিতা লিখে প্রতিবাদ করেছিলেন। আর এবার লিখলেন থিম সং। দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত পুজো দেখ্যতে গেলেই শুনতে পাওয়া যাবে মমতার লেখা গান। তারে সৃষ্টি সবার ভাল লাগবে বলেই মনে করেন মমতা।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।