কলকাতার দুর্গা পুজো মানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা সৃজনশীলতার ছাপ প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। কোথাও কবিতা লিখছেন তিনি কোথাও আবার গান। দুর্গাপুজো মানেই মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পকর্মের বর্ণাঢ্য প্রদর্শনী!
এই দেশের প্রতি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষদের ভূমিকা নিয়ে একটি কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের একটি পুজোর প্যান্ডেলে কাঠের উপর খোদাই করে লেখা হবে। আবার অন্যদিকে, নিউ আলিপুরের একটি পুজোর থিম গান লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাঁওতালি ভাষার কবিতা- 'জোই জিতকৌর দেবান মেনা' (বলুন, আমরা জয়ী হব) বাংলায় অনুবাদ করা হবে এবং কাঠের উপর খোদাই করে করে সাজানো হবে ভবানীপুরের স্বাধীন সঙ্ঘের পুজোয়।
সাঁওতালি কবিতা ছাড়াও, প্যান্ডেলে ঢোকার পথেই দেখা যাবে কর্মরত সাঁওতালি মানুষদের বড় বড় মূর্তি, সোমবার জানিয়েছেন ভবানীপুরের স্বাধীন সংঘ পুজো কমিটির সচিব অসীম কুমার বসু।
তিনি আরও বলেন, "এই পুজোর প্যান্ডেলের মূল বিষয় হল আমাদের দেশে সাঁওতাল মানুষদের ভূমিকা, স্বাধীনতা লড়াইয়ে তাঁদের অবদান এবং পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকায় বসবাসকারী সাঁওতালি মানুষদের জীবনধারা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।” স্বাধীন সংঘ পূজো কমিটি গতবছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সবুজ’ কবিতার উপর ভিত্তি করেই নিজেদের থিম তৈরি করেন। পরিবেশ সংরক্ষণই ছিল যার মূল বিষয়। দক্ষিণে 'সুরুচি সংঘ'র পুজোর থিম গানও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গানের কথাগুলি ‘আগমনী’ সুর ও আগমনীর বিষয়টিকে মাথায় রেখেই তৈরি। পুজোর থিম মিউজিকে আগমনী ভাব আনাই মূল লক্ষ্য। এর আগে একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানান, “আমাকে অরূপ বিশ্বাস (মন্ত্রী) অনুরোধ করে, ওর সুরুচি সঙ্ঘের দুর্গা পুজোর জন্য একটা গান লিখে দিতে, আমি তাই ভাবলাম আগমনী গানের সেই ভাবটাই ফুটিয়ে তুলতে হবে। আমার গানের মধ্যে 'যা দেবী সর্বভূতেষু' জাতীয় কথা গুলো রেখেছি। আশা করি প্রত্যেকের পছন্দ হবে।”
জনপ্রিয় গায়ক ও পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এই গানটি গেয়েছেন। গতবছরেও সুরুচি সঙ্ঘের জন্য থিম গান লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।