কলকাতার পুজো বললেই দুটো ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। এক তো বারোয়ারি-সার্বজীনন ক্লাবের পুজোগুলো। সেখানে থাকে থিমের বাহার, বিরাট ঝাঁ চকচকে মণ্ডপ, ঘাড় উঁচু করে দেখা বিশাল প্রতিমা। কিন্তু পাশাপাশি এ শহরেরই প্রাণপুজো বলতে আমরা চিরকাল জেনে এসেছি বাড়ির পুজোকে। ছোটখাটো ছিমছাম পুজো অথচ বড্ড আন্তরিক। সব বাড়ির পুজোয় বারোয়ারির মতো তেমন জাঁকজমক না থাকলেও থাকে অন্যরকম আনন্দ। ছোট প্রতিমা কিন্তু তাঁকে দেখলে ভক্তিতে মাথা নুইয়ে আসে। তেমনই কলকাতার মল্লিক বাড়ির পুজো। এই বনেদি বাড়ির পুজো এ বছর ৯৪ বছরে পা দিল।
এই পুজো দেখতে শুধু কলকাতা বা শহরতলিই নয় এমনকী দেশের বাইরে থেকেও লোকজন আসেন। মল্লিক বাড়ির ছেলে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক এবং তাঁর মেয়ে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। তাই এই পুজোর গ্ল্যামারই আলাদা। রঞ্জিত মল্লিক জানালেন, এই পুজোয় তাঁদের সব আত্মীয় স্বজনেরা আসেন। এমনকী যাঁরা আমেরিকা, লন্ডনে থাকেন এমন আত্মীয়েরাও আসেন সকলে।
কোয়েল জানালেন, শুধু আত্মীয় না অনাত্মীয়েরাও আসেন। তারাও এ পুজোকে আপন করে নিয়েছেন। এ বাড়ির পুজোর কাজে হাত লাগান বাড়ির সব সদস্যেরা। তখন আর কেউ সেলেব্রিটি থাকেন না। সবাই যেন এক হয়ে মিলেমিশে সাধারণ হয়ে যান। এ বছরও নিষ্ঠা ভরে ষষ্ঠীপুজো, সপ্তমী পুজো, অষ্টমীর কুমারী পুজো, নবমীর সন্ধি পুজো সবই হয়েছে নিয়ম মেনে। জানা গেল, খাবারের ও ভোগের দায়িত্বে থাকেন রঞ্জিত মল্লিকের স্ত্রী। আর বাড়ির সকলেই এক বাক্যে জানালেন, সবে তো নবমী, আরও এখনও বাকি মল্লিক বাড়ির পুজোর আনন্দ।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।