কলকাতাকে পেছনে ফেলল লন্ডন। এ দেশে পুজো শুরু হওয়ার আগেই উমার বোধন হয়ে যাবে লন্ডন সহ গোটা বিলেতে। শুধু আগে শুরু করা নয় পুজো শেষও হবে দেরিতে। সেই 22 তারিখ। কিন্তু কেন? আসলে বিদেশে পুজো সব সময় নির্ঘণ্ট মেনে হয় না। হয় ছুটির দিন দেখে। তবে কলকাতার সঙ্গে তাল রেখে হয় এমন পুজোর খোঁজ যে মিলবে না তা নয়। কিন্তু বেশির ভাগ পুজোই হয় শনি ও রবিবার দেখে। তাই পুজো হবে দশদিন ধরে। বিলেতে পুজোর এরকমই নানা খোঁজ দিতে ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছিল আগেই। এবার তা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। তৈরি হল ভিডিয়ো। এই ভিডিয়োটির মধ্যেই রয়েছে সব তত্ব। এখান থেকেই বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতে পারবেন বিলেতের কোন শহরে হচ্ছে পুজো।
শুধু তাই নয় কীভাবে সেখানে পৌঁছনো যাবে সেই খবরও থাকছে। ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন সুমিত কোঙার। বর্ধমানের বাসিন্দা সুমিতকে সাহায্য করেছেন প্রবাসী বাঙালি অভিরূপ ঘোষ এবং মৈত্রী রায়। আর ভিডিও তৈরি করেছেন দেবার্ঘ চক্রবর্তী। ওয়েবসাইট আর ভিডিয়ো মিলিয়ে খান ষাটেক পুজোর ব্যাপারে তথ্য দেওয়া আছে। শুধু পুজোর বিবরণ নয়, থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খোঁজ খবরও। কাজটা অবশ্য খুব সহজ ছিল না। বিলেতে সবকটি পুজোর উদ্যোক্তাদের সন্ধান পেতে ফেসবুকের শরণ নেন তিনি। আলাদা আলাদা করে মোবাইল নম্বর জোগাড় করে তৈরি হল হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ। সেখানেই আসতে থাকে একের পর এক তথ্য। সেগুলিকে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে আকারে বড় হতে থাকেওয়েবসাইট।
ভিডিওতে দেখুন বিদেশের পুজো পরিক্রমা :
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।