শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো। বৃষ্টি, ভেঙে পড়া ব্রিজ, আবহাওয়া দফতরের ক্রমাগত সাবধানবাণী- কিছুই আটকাতে পারেনি মানুষকে। তারা সকলেই প্রতিমা দর্শনে বেরিয়ে পড়েছে নিজেদের মতো করে। পিছিয়ে নেই উদ্যোক্তারাও। নিজেদের পুজোকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন একের পর এক অভিনব উপায়ের। এই পুজো কমিটিগুলোর মধ্যে একেবারে প্রথমেই যাদের নাম উঠে আসে, তারা হল দক্ষিণ কলকাতার সমাজসেবী সংঘ। গত বছর তাদের আলপনায় চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। এই বছর তারা এমন সব বস্তু দিয়ে মণ্ডপটা বানিয়েছে, যার ফলে, দৃষ্টিহীনরাও পুজো উপভোগ করতে পারবে সম্যকভাবে।
এই বছর বালিগঞ্জের এই পুজো কমিটি পা দিল তিয়াত্তর বছরে।
প্রবেশপথের মুখেই দুর্গার একটা সুবিশাল মুখ। যা তৈরি হয়েছে লোহার বারো হাজার স্ক্রু দিয়ে। এই শিল্পকর্মটি স্পর্শ করলে, সেটি কীরকম, তার খানিকটা আন্দাজ পাবে দৃষ্টিহীনরা।
মণ্ডপটি তৈরি করেছেন কলকাতার দুই শিল্পী সুমি মজুমদার এবং শুভদীপ মজুমদার। মণ্ডপের ভিতরের দেওয়ালে এমনভাবে ব্রেইল পদ্ধতিতে ‘মা’ এবং ‘জয় মা দুর্গা’ শব্দগুলি খোদাই করা আছে, যা স্পর্শ করলেই অনুভব করতে পারবে দৃষ্টিহীনরা।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।