জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষের জীবনের মূল সঞ্চয় তার অভিজ্ঞতার পুঁজি। সেই অভিজ্ঞতা কালক্রমে পরিণত হয় স্মৃতিতে। সে সব স্মৃতি কখনও সুখের কখনও বা দুঃখের। কিন্তু মানুষের জীবনভর এমনকি অনেক জাতিস্মরের ক্ষেত্রে পরের জীবনেও ভিড় করে আসে স্মৃতি। তাই ঢাকুরিয়া এলাকার সেলিমপুর পল্লির এ বারের থিম জন্মান্তর। মানুষের এক জন্মে শেষ হয় না যে সব স্মৃতি, তাই বহমান থাকে। মণ্ডপে তাই পুরনো বছরের ক্যালেন্ডার থেকে আগামী বেশ কিছু বছরের ক্যালেন্ডারও ব্যবহৃত হয়েছে। আর রয়েছে লাটাই। তার সুতো কোথাও অনন্ত। কোথাও সে সুতো কয়েক হাত গিয়ে থমকে গিয়েছে। ঠিক যেন আমাদের জীবন, কারও জীবন থমকে গিয়েছে কয়েক পা গিয়েই আর কারও জীবন অনন্ত। মণ্ডপ সজ্জায় বাংলার নিজস্ব শিল্পের অনেক রকম উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। পাট, পাটি, বাঁশ, মাদুর, চাটাই থেকে শুরু করে কী নেই সেখানে।
দেখুন ভিডিও:
জন্ম আর পুজো আমাদের জীবনে যেন এক সুতোয় বাঁধা। জন্ম থেকে জন্মান্তরে রূপ পরিবর্তিত হয় কিন্তু জীবনের মূল রশিটা আলগা হয় না। সে চলে তার নিজের ছন্দে। প্রলয়েও তার লয় নেই। ঠিক তেমনই দুর্গাপুজোর সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক বহমান, তা থমকে যায় না। স্তব্ধ হয় না। প্রতি বছর পুরনো মুখ কিছু কিছু চলে যায়, কিন্তু নতুন এক ঝাঁক মুখ সাদরে মাকে বরণ করে নিয়ে আসে নিজেদের আঙিনায়। উৎসবের রং বদলায় কিন্তু উৎসবের সঙ্গে সম্পর্ক জন্ম জন্মান্তরে থেকে যায়।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।