এ বছর শোলাশিল্পীদের কাজকে মানুষের সামনে নিয়ে এসেছে শহরের দু'টি পুজো কমিটি। তাদের মণ্ডপ সেজে উঠেছে শোলার অপূর্ব হাতের কাজে। একটি পুজো হল দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। তারা দক্ষিণ ২৪ পরগনার অক অখ্যাত গ্রাম থেকে চল্লিশ জন শোলা শিল্পী এবং তাদের দুশো জন সহকারীকে নিয়ে এসেছেন মণ্ডপ সাজানোর জন্য। শোলা এক ধরনের গাছ। এটি সাধারণত জলা জমিতে বেড়ে ওঠে। গাছের উপরিভাগ থেকে শোলা তৈরি হয়। এই সাদা নরম জিনিষটি প্রায় থার্মোকলের মতোই দেখতে। কিন্তু থার্মোকল ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়। তবে থার্মোকলের থেকে এটি বেশি ভাল, সুন্দর ও নরম।
দেখুন ভিডিও:
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান। পুজো কমিটির মুখপত্র বলেন, ‘‘আমাদের বাড়ির পুজোয় আচার অনুষ্ঠানে নিয়মিত চাঁদমালা, শোলার মুকুট ব্যবহার হয়। কিন্তু শিল্পীরা কদর পান না। তাই আমরা এই মানুষগুলোতে নিয়ে এসেছি সামনে। এই মানুষগুলোর ২৪০ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের মণ্ডপ গড়ে উঠেছে। আমরা মানুষের কাছে এই আর্ট ফর্ম ছড়িয়ে দিতে চাইছি।'' মণ্ডপটি দর্শনার্থীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনুরাধা রায় নামে এক মিডিয়া প্রফেশনাল বলেন, ‘‘সত্যিই শোলাপিঠের সাহায্যে এত সূক্ষ্ম যাদের কাজ তাদের কথা আমরা জানতামই না।''
দেখুন ভিডিও:
সামান্য দূরেই একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব। তারাও পূজার জন্য ৩২ ফুটের চাঁদমালা বানিয়েছে। তাতে রয়েছে তিনটি চাকতি। প্রত্যেকটি আট ফুট ব্যাসের। পুজোর এক উদ্যোক্তা জানালেন, চাঁদমালায় ছোট ছোট আলো থাকায় তা রাতেও দেখা যাবে। একজন শোলা শিল্পী বলেন, ‘‘অরূপ দাশগুপ্ত নামে একজন সরকারী কর্মচারী এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, তার দশ বছরের ছেলে এত বড় চাঁদমালা দেখে মুগ্ধ।'' আমরাও খুব খুশি এই সম্মান পেয়ে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।