বর্তমান পৃথিবীর আকাশ ছেয়ে গিয়েছে, কালো বিষ বাষ্পে। এ ধোঁয়া শুধু যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া নয়, আসলে মানব সভ্যতার উপরে ক্রমাগত ঘনিয়ে আসছে সঙ্কট, সম্প্রীতি বিনষ্টকারী, মানবতা ধ্বংসকারী এক অশুভ শক্তি ক্রমশ সভ্যতাকে গ্রাস করতে চাইছে। তারই বিরুদ্ধে গিয়ে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিতে শ্যামবাজার পল্লি সঙ্ঘের এ বছরের নিবেদন ‘যেটাই ফেলি সেটাই তুলি।’
শিল্পী দিব্যেন্দু রায়ের হাতে রূপ পাচ্ছে ওই থিম। প্রতিদিনই আমাদের কাছে বহু জিনিষ বাড়তি হয়, ফেলে দিই আমরা। খালি বোতল, কাঠি, বল, কাগজ, প্লাস্টিক, দড়ি, কোনও কাঠকুটোর টুকরো আরও কত কী। সেই সব ফেলে দেওয়া জিনিসকেই এ বার তুলে এনে মণ্ডপ সাজাচ্ছে শ্যামবাজার পল্লি সঙ্ঘ। শুধু তুলে আনাই নয়, সেগুলোর রূপ বদলে তাকে অন্য রূপে সাজিয়ে তুলে আনছেন শিল্পী।
প্রচারের দায়িত্বে থাকা দীপান্বিতা বাগচী জানান, স্থানীয় একটি বস্তি অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের বেশ কিছু ছেলেমেয়েকে এই পুজোর থিমের কাজে সংযুক্ত করেছেন শিল্পী ও পুজোকর্তারা। তারা জানালেন, ওই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাই বছরভর উৎসাহ নিয়ে সব ফেলে দেওয়া জিনিস সংরক্ষণ করেছে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।