শিলিগুড়ি শেখাচ্ছে। শিলিগুড়ির এক পুজোমণ্ডপে সমস্ত পরিবেশবান্ধব জিনিস ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। তারা বার্তা দিচ্ছে সবুজ পৃথিবীর। এ যেন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা। শিলিগুড়ি শহর প্লাস্টিক-থার্মোকল বর্জনের পথে হাঁটছে। সেই পথেই এই মণ্ডপের আশা সেখানে আসা দর্শকেরাও উদ্যোগী হবেন রোজকার জীবনে প্লাস্টিক ব্যবহার না করায়।
৩২০০০ স্কোয়ার ফিট এলাকা জুড়ে কলকাতার ছেলে দেবজ্যোতি চ্যাটার্জী গড়ে তুলছেন এই পুজোমণ্ডপ। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন দূষণ কী ভাবে বেড়েই চলেছে। তাঁর মতে, পরিবেশ দূষণ শুধু জাতীয় নয় বিশ্বজনীন সমস্যা। তিনি বলেন, ‘‘এই মণ্ডপে আমরা দেখাতে চেয়েছি কী ভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য মাটি, মানুষ ও জীবজগতকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এবার আমাদের থামা উচিত।’’
সিলিগুড়ির কলেজ পাড়া কমিটির এই ইউনিক মণ্ডপের থিম, ‘কালার্স, ব্রাশ, লাইট পুট টুগেদার অ্যান্ড প্রমিস টু বি এনভায়রনমেন্ট সেভার’। উদ্যোক্তারা কিছু প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ রাখছেন দেখানোর জন্য যে নগরায়নের কুপ্রভাবে কী ভাবে প্রকৃতির ক্রমাগত ক্ষতি হচ্ছে।
অ্যাক্রেলিক রঙের ব্যবহারে চলছে মণ্ডপ তৈরি
এই দুর্গাপুজোর সেক্রেটারি তনুজ সিংহ বলেন, ‘‘প্রতি বছরই আমরা চেষ্টা করি নতুন কোনও থিমের উপরে কাজ করতে। বিশেষত তা যেন প্রকৃতি কেন্দ্রিক হয়। এ বছর আমরা রং তুলির সাহায্যে দেখাচ্ছি দূষণের জন্য কী ভাবে প্রকৃতির ক্ষতি হচ্ছে।’’ তাদের প্রতিমাও গড়া হবে সম্পূর্ণটাই মাটি দিয়ে।
এখানে দেখুন:
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।