ব্যাট হাতে দেখেছেন, কমেন্ট্রি বক্সে দেখেছেন, ক্যুইজ করতে দেখেছেন এমনকি পুজোয় পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাক বাজাতেও দেখেছেন কিন্তু নাচতে? মনে পড়ছে না তো? এরকমই ঘটনার সাক্ষ্মী হবেন আপনারা। এক বিজ্ঞাপনী প্রচারের জন্য পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর নির্দেশনায় দুর্গাপুজোর একটি মিউজিক ভিডিওতে এবার নাচলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। ‘দাদা’র সঙ্গে যারা রয়েছেন তাঁদের নাম শুনেও বেশ চমকেই যেতে হয়, রয়েছেন শুভশ্রী ও মিমি। তাঁদেরকেও নাচে সমান টেক্কা দিচ্ছেন সৌরভ। ভিডিওতে দেখা যাবে জিৎ গাঙ্গুলি ও বনিকেও।
দেখে নিন এখানে
মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি
রাজ জানান, “লে ছক্কা সিনেমা করার সময়েই দাদাকে বলেছিলাম আমার সিনেমায় অভিনয় করতে। কিন্তু সে সময় ব্যস্ত থাকায় সম্ভব হয়নি। এবারও ভীষণই ব্যস্ত ছিলেন দাদা। লর্ডসে থাকাকালীনই আমার এই ভিডিওর স্টোরিবোর্ড পাঠাই তাঁর কাছে, দাদা রাজি হন।” অধিনায়কের হাতে এতদিন কথা বলেছে ক্রিকেট ব্যাট, নাচের তালে কি সত্যিই বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে অধিনায়কের পায়ের ছন্দ? রাজ জানান, ভিডিওর প্রস্তাব আসতেই প্রথমেই নাচতে হবে কিনা জিজ্ঞেস করেছিলেন সৌরভ। জানিয়েছিলেন, ছন্দ-লয়ের বিষয়ে একেবারেই জ্ঞান নেই তাঁর। কিন্তু শ্যুটিং-এর সময় প্রতি মুহূর্তে একজন ছাত্র হিসেবেই কাজ শিখেছেন কাজ করেছেন তিনি।
মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি
এই ভিডিওয় গানে ঠোঁটও মেলাতে হয়েছে তাঁকে, আর ধুনুচির সঙ্গে নাচও। রাজ বলেন, “আমরা দেখতাম কীভাবে নিজের গানের লাইন মুখস্থ করছেন দাদা, একটি বাচ্চার সঙ্গে খেলার দৃশ্য আছে এই ভিডিওতে। বারেবারে নিজে থেকেই বাচ্চাটির সঙ্গে প্র্যাকটিস করছিলেন তিনি কীভাবে দৃশ্যটা ভালো করা যায়। সত্যিই অধিনায়ক তিনি। খেলা থেকে অভিনয়- যেটাই করেন সমস্ত মন প্রাণ দিয়ে করেন।” ক্যামেরার সামনে নতুন নন সৌরভ, তবু এই মিউজিক ভিডিওতে গানের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখের অভিব্যক্তি ও শরীরী ভাষা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো।
মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি
পুজোয় মিউজিক ভিডিও নতুন নয়। পুজোর গানের পাশাপাশি নানা ভিডিওই তৈরি হয়। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলিকে এমন ভূমিকায় কেন ভাবলেন পরিচালক? বাংলার দুর্গাপুজো যেমন বহু মানুষের কাছেই নস্টালজিয়া তেমনই সৌরভ গাঙ্গুলি নামটার সঙ্গেও বাঙালির অন্য আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। তাই উৎসবের সঙ্গে এই আবেগের মেল বন্ধন ঘটাতেই এমন আয়োজন। নাচ আর অভিনয় ছাড়াও ভিডিওর শেষে ঢাক বাজাতেও দেখা যাবে বাংলার অধিনায়ককে।
মিউজিক ভিডিওর দৃশ্যে সৌরভ গাঙ্গুলি
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও পুজোয় শোলার ব্যবহার দেখা যায়। কিন্তু শিল্পীরা সাধারণত প্রচারের আলোর বিপরীতেই রয়ে যান।
পুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে মা যাতে এসে কালো অশুভ হাতের বিনাশ করেন। আর মায়ের সেই বিনাশ মূর্তির মধ্যে দিয়েই জেগে উঠুক নতুন প্রাণ।
পুজো প্যান্ডেল তৈরি হল এক বিশেষ দাবিকে সামনে রেখে। না কোনও রাজনৈতিক বা সামাজিক দাবি নয়, এই দাবি একেবারেই শহুরে, কলকাতাকে ভালবাসার প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর, কলকাতার পরিচিতি সিটি অফ জয় নামে। কিন্তু আয়োজকরা চান কলকাতা পরিচিত হোক সাহিত্যের শহর হিসেবে। তাই এবার রাজা রামমোহন সরণির চালতা বাগানের পুজোর থিম বিশ্বকবি। 76 বছরে পা দেওয়া চালতাবাগানের থিমের পোশাকি নাম কবিগুরুর শান্তিনিড়। উদ্দেশ একটাই ইউনেস্কোর থেকে স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া।
সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন্যস্ত।
সূদূর জার্মানির বার্লিন শহরে বসেও দুর্গাপুজোর উৎসবে মাতোয়ারা একদল ভারতীয়। পুজোর আয়োজন থেকে উপকরণ কোথাও নেই এতটুকু কার্পণ্য।
পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি অফ রাশিয়া ইন্টার ক্লাবে এবছর ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে মস্কোর দুর্গাপুজো। 15 অক্টোবর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উদযাপন। 19 অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নানা অনুষ্ঠান।
বর্ধমানের সুমিত কোঙার। আপাতত এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিষয়ে পোস্ট ডক করছেন। বছর দুয়েক হল বিলেতে আছেন। সেখানে গিয়েই বুঝেছেন নতুন জায়গায় গিয়ে পুজোর ব্যাপারে খোঁজ খবর পেতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিলেতের এদিক ওদিকে থাকা ভারতীয় তথা বাঙালিরা জানতেই পারেন না, ঠিক কোথায় হচ্ছে পুজো। সেই সমস্যা থেকেই মুক্তি দিতেই উদ্যোগ নিলেন সুমিত।